বছর দেড়েক আগে বাঁকুড়ায় ঘটে যাওয়া প্রকাশ্য দিবালোকে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনার স্মৃতি উসকে দিয়েছে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া পুরুলিয়া ও রানাঘাটে ঘটে যাওয়া প্রকাশ্য দিবালোকে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা। বাঁকুড়ার মতই প্রায় একই কায়দায় পুরুলিয়া ও রানাঘাটে সোনার দোকানে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে সোনার গয়না নিয়ে পালায় ডাকাতের দল। আর এই ঘটনার পরই সারা বাঁকুড়া জুড়ে স্বর্ণ শিল্পীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
পুজোর মুখে তারা নিজ নিজ দোকানের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দোকানে সিসিটিভি লাগানো হয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে সিসিটিভি লাগানো সত্বেও দুষ্কৃতীরা আগেভাগেই ক্যামেরা ভেঙ্গে দিয়ে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করছে। উদ্ভূত পরিস্হিতিতে বাঁকুড়া সদর থানায় আজ এক আলোচনা সভা বসে।সদর থানার
আইসি প্রতিটি দোকানে সিসিটিভি লাগানোর পাশাপাশি সোনার দোকান অধ্যূষিত এলাকার রাস্তায় সিসিটিভি লাগানোর পরামর্শ দেন।
বাঁকুড়া স্বর্ণ শিল্পী সমিতির সম্পাদক দামোদর দে জানান, সোনার দোকানের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে শহরের বেশকিছু দোকানে সিসিটিভি লাগানো হয়েছে। যে সব দোকানে ক্যামেরা নেই সেইসব দোকানে ক্যামেরা লাগানোর পরামর্শ দিয়েছেন।নতুন করে আরো কিছু ক্যামেরা লাগানো খুবই ব্যয়বহুল। জেলা পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে শহরে শতাধিক ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। পুজোর মুখে পুলিশি টহলদারি জোরদার করার পক্ষে স্বর্ণ শিল্পীরা।