৫০০ কোটি টাকারও বেশি ব্য়াঙ্ক প্রতারণা? দীর্ঘক্ষণ ধরে চলল জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব। শেষে জেট এয়ারওয়েজের প্রতিষ্ঠাতা নরেশ গোয়েলকে গ্রেফতার করল ইডি।
ফের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কে ‘প্রতারণা’। কানাড়া ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে নরেশ গোয়েল ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। অভিযুক্তদের তালিকা রয়েছেন কোম্পানির কয়েকজন প্রাক্তন আধিকারিকও। সেই মামলার প্রেক্ষিতে এদিন মুম্বইয়ে ইডি-র অফিসে ডেকে পাঠানো হয় নরেশকে। দীর্ঘক্ষণ ধরে তাঁকে জেরা করেন তদন্তকারীরা।
তারপর? বেআইনি আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত আইনে গ্রেফতার করা হয় জেট এয়ারওয়েজের প্রতিষ্ঠাতাকে। আগামিকাল, শনিবার ধৃতকে তোলা হবে আদালতে। নরেশ গোয়েলকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে ইডি। জেট এয়ারওয়েজ, নরেশ গয়াল, তাঁর স্ত্রী অনিতা এবং কোম্পানির কয়েকজন প্রাক্তন এগজিকিউটিভের বিরুদ্ধে কানাড়া ব্যাঙ্কের ৫৩৮ কোটি টাকার জালিয়াতি মামলায় এফআইআর দায়ের করে সিবিআই। তার পরিপ্রেক্ষিতেই আর্থিক তছরুপ মামলার তদন্ত করে ইডি।
ব্যাঙ্কের অভিযোগের ভিত্তিতেই এফআইআর দায়ের করেছিল সিবিআই। ব্যাঙ্ক অভিযোগ করে, ব্যাঙ্কের তরফে জেট এয়ারওয়েজ লিমিটেডকে ৮৪৮.৮৬ কোটি টাকা ক্রেডিট লিমিট ও ঋণ অনুমোদন করা হয়েছিল। তার মধ্যে ৫৩৮.৬২ কোটি টাকা অনাদায়ী সিবিআইয়ের বক্তব্য, ২০২১ এর জুলাই মাসে জেট এয়ারওয়েজের অ্যাকাউন্টটিকে ‘জাল’ ঘোষণা করা হয়।
এফআইআরে বলা হয়েছে, কর্মীদের বেতন দেওয়া, ফোন বিল, গাড়িবাবদ খরচ এবং গয়াল পরিবারের অন্যান্য খরচের মত ব্যক্তিগত খরচও এই টাকা থেকে মিটিয়েছে সংস্থা। ফরেনসিক পরীক্ষায় এটাও জানা গিয়ছে যে, অগ্রিম ঋণ নেওয়া ও বিনিয়োগের মাধ্যমে তহবিলে ঘোটালা করা হয়েছে।