গত বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে রান তাড়া করে ভারতকে জিতিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। খাদের কিনারা থেকে ভারতের ফিরে আসার সেই ম্যাচ এখনও সমর্থকদের হৃদয়ে রয়েছে। সেই ম্যাচে যাঁর ওভারে দু’টি ছক্কায় ম্যাচ ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন কোহলি, সেই হ্যারিস রউফের সঙ্গে আবার দেখা হল ভারতের প্রাক্তন অধিনায়কের। কোনও বৈরিতা নেই, দুই ক্রিকেটারকেই হাসিঠাট্টা করতে দেখা গেল।
শুক্রবার ক্যান্ডিতে ভারত এবং পাকিস্তান একই সঙ্গে অনুশীলনে নেমেছিল। তাই মাঠেই দেখা হয়ে যায় রউফ এবং কোহলির। কোহলি নিজেই হাসতে হাসতে এগিয়ে যান রউফের দিকে। পাক পেসারকে বুকে জড়িয়ে ধরেন। সামান্য কথাবার্তা হয়। তার পরে সাজঘরে ফেরার সিঁড়িতে দাঁড়িয়েও অনেক ক্ষণ পাক ক্রিকেটারদের সঙ্গে আড্ডা মারেন কোহলি।
শাদাব খানের সঙ্গে অনেক ক্ষণ কথা বলতে দেখা যায় কোহলিকে। তাঁর ব্যাট নেড়েচেড়ে দেখেন কোহলি। কিছু ক্ষণ পরে সেখানে যোগ দেন শাহিন আফ্রিদি এবং রউফ। তাঁদের সঙ্গেও বেশ কিছু ক্ষণ কথা হয়। এর পর কোহলি নিজেদের সাজঘরে ফিরে যান। তবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের ম্যাচের আগে দুই দেশের ক্রিকেটারদের এই বন্ধুত্ব সবারই মন জয় করেছে। কেউ কেউ সমাজমাধ্যমে লেখেন, এই কারণে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে আরও ঘন ঘন ম্যাচ হওয়া উচিত।
গত বছর কোহলি অপরাজিত ৮২ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েছিলেন। সেই ম্যাচে রউফকে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দু’টি ছক্কা মেরেছিলেন কোহলি। ম্যাচের এক মাস পরে এক অনুষ্ঠানে এসে রউফ দাবি করেছিলেন, কোহলি আর কোনও দিন তাঁকে ও ভাবে দু’টি ছক্কা মারতে পারবেন না।
পর পর দু’টি ছক্কা খেয়ে যে ভেঙে পড়েছিলেন, সেটা সে দিন অস্বীকার করেননি রউফ। পাকিস্তানের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘হাসনা মনা হ্যায়’ অনুষ্ঠানে এক সমর্থকের প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন, “ছয় খাওয়ার পর খুবই খারাপ লেগেছিল। কিছু বলিনি, কিন্তু ভেতরে যন্ত্রণা কুরে কুরে খাচ্ছিল। খুব খারাপ কিছু করে ফেলেছি বলে মনে হচ্ছিল।”
তার পরেই রউফ জানিয়েছিলেন, কোহলি আর কোনও দিন হয়তো তাঁর বোলিংয়ে ও রকম শট মারতে পারবেন না। কারণ, ওই ধরনের শট ক্রিকেটে খুবই বিরল। রউফ বলেছিলেন, “যারাই ক্রিকেট সম্পর্কে জানে তারা বুঝতে পারবে কোহলি কী ধরনের ক্রিকেটার। ওই দিন শটটা মারতে পেরেছে ঠিকই। তবে আমার মনে হয় না আর কোনও দিন সেটা পারবে। ওই ধরনের শট মারা খুবই বিরল ব্যাপার। বার বার মারা যায় না। কোহলির টাইমিং নিখুঁত ছিল। তাই জন্যেই ওটা ছয় হয়ে গিয়েছে।”