মেদিনীপুরের রবীন্দ্রনগরে উদ্বোধন হচ্ছে ৬৭৫০ স্কোয়ার ফুটের সুবিশাল শ্রীলেদার্স শো- রুমের

মেদিনীপুরবাসীর বহু প্রতীক্ষিত ‘শ্রীলেদার্স’ শো-রুমের উদ্বোধন হচ্ছে শনিবার ২ সেপ্টেম্বর সকাল ৮-টায়। ৬৭৫০ স্কোয়ার ফুট জায়গার উপর সুবিশাল জুতোর শো-রুম। যা মেদিনীপুর শহরের সবথেকে বড় জুতোর শো-রুম বলেই দাবি করছে কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার দুপুরে মেদিনীপুর শহরের রবীন্দ্রনগরে এসবিআই ব্যাঙ্কের ঠিক পেছনে ঝাঁচকচকে নতুন শো-রুমে সাংবাদিক বৈঠক করে শ্রীলেদার্স কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, “এখন থেকে আপনাদের আর কলকাতার ধর্মতলার (লিন্ডসে স্ট্রিট) শো-রুমে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। জুতো ছাড়াও এই শো-রুমে আপনারা ব্যাগ, মানি পার্স, বেল্ট সহ সবকিছুই পাবেন। আমরা আশাবাদী মেদিনীপুরবাসী এখানকার স্টক ও পরিষেবায় আপ্লুত হবেন।”

তাঁরা এও জানান, “উদ্বোধনী দিনে অর্থাৎ প্রথম দিন শনিবার প্রথম ২০০০ গ্রাহকের জন্য আকর্ষণীয় উপহার হিসেবে একটি ব্যাগ থাকছে। তবে, সেক্ষেত্রে অন্তত ৯৯৯-টাকার কেনাকাটা করতে হবে। প্রথম দিন সকাল ৮-টা থেকে যতক্ষণ পর্যন্ত গ্রাহকরা থাকবেন, ততক্ষণ শো-রুম খোলা থাকবে।” অন্যান্য দিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা, বা ১০টা পর্যন্ত শো-রুম খোলা থাকবে বলেও প্রাথমিকভাবে তাঁরা জানিয়েছেন। প্রথম দিনের ভিড় সামলানোর জন্য তাঁরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছেন বলেও এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।

শ্রীলেদার্সের দুই ডিলারশিপ ম্যানেজার, যথাক্রমে- সুমন শীল ও সোহম দাশগুপ্ত জানান, “প্রশাসনের কাছ থেকে আমরা প্রয়োজনীয় সাহায্য চেয়েছি। একইসঙ্গে আমাদের ৭০-৮০ জন ভলান্টিয়ার বা স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন। রোদ-বৃষ্টির হাত থেকে গ্রাহকদের মুক্তি দিতে শোরুমের সামনের দুই পাশের রাস্তাতে চাঁদোয়া খাটানো হয়েছে।” মজা করে তাঁরা এও জানিয়েছেন, “কোনো সেলিব্রেটিকে দিয়ে আমরা শো-রুমের উদ্বোধন করাচ্ছি না। আমাদের প্রথম গ্রাহকই শ্রীলেদার্স, মেদিনীপুরের উদ্বোধন করবেন।”

বাঁকুড়ার পর জঙ্গলমহলে এটাই তাঁদের দ্বিতীয় শো-রুম বলে জানানো হয়েছে। বাঁকুড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরের শোরুমের বরাত একই ব্যক্তি বা সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান ‘শ্রীলেদার্স কলকাতার দুই ডিলারশিপ ম্যানেজার।

বরাত পাওয়া ওই সংস্থার তরফে উপস্থিত ছিলেন উত্তম চেল। তিনি জানান, “এই আবাসনের (রবীন্দ্রনগরের) দু’টি তলা মিলিয়ে ৬৭৫০ স্কোয়ার ফুটের উপর অমরা শোরুম গড়ে তুলেছি। তবে, আপাতত প্রথম তলাটি ৩৭৫০ স্কোয়ার ফুট শোরুম হিসেবে ব্যবহৃত হবে। দোতলা-টি স্টোর রুম হিসেবে থাকবে। সেখানে আমাদের প্রচুর স্টক থাকছে।” মেদিনীপুর শহরের এই শোরুমে মোট ৪০ জন কর্মী পরিষেবা দেওয়ার জন্য থাকছেন বলে কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে। এর মধ্যে, মেদিনীপুর শহর ও সংলগ্ন এলাকার ২২ জনকে নতুনভাবে নিয়োগ করা হয়েছে এবং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ১৮ জন কর্মীকে বাঁকুড়ার শোরুম থেকে নিয়ে আসা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.