প্রথম ম্যাচে ওয়াকওভার পেয়ে গিয়েছিলেন কার্লোস আলকারাজ়। প্রায় বিনা পরিশ্রমেই ইউএস ওপেনের তৃতীয় রাউন্ডে পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার সেই রাউন্ডে আলকারাজ় হারালেন দক্ষিণ আফ্রিকার লয়েড হ্যারিসকে। ৬-৩, ৬-১, ৭-৬ গেমে জিতলেন সদ্য উইম্বলডনজয়ী আলকারাজ়।
তৃতীয় রাউন্ডে ওঠার লড়াইয়ে আলকারাজ়কে দেখা গেল ফোরহ্যান্ড শটে আক্রমণ করতে, কখনও রক্ষণাত্মক খেলতে। তাঁর খেলায় যে শিল্পের ছোঁয়া দেখা গেল, তা তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করলেন দর্শকেরা। ম্যাচ শেষে আলকারাজ় বলেন, “পুরো ম্যাচটাই ভাল খেলেছি। দ্বিতীয় সেটে কোনও ভুল করিনি। নিজের সেরা খেলাটা খেলতে পেরেছি।” মাত্র ২০ বছরের আলকারাজ় এ বারের ইউএস ওপেনে শীর্ষ বাছাই। ইউএস ওপেনের ইতিহাসে এই স্পেনীয় তারকাই সব থেকে কনিষ্ঠ বাছাই খেলোয়াড়।
প্রথম দু’টি সেটে প্রতিপক্ষকে দাঁড়াতেই দেননি আলকারাজ়। তৃতীয় সেটে হয়তো তাই একটু হাল্কা ভাবেই নিয়েছিলেন হ্যারিসকে। সেই সুযোগে একটা সময় ৪-২ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার টেনিস খেলোয়াড়। পরে যদিও সেটটি টাইব্রেকারে নিয়ে গিয়ে ম্যাচ জিতে নেন আলকারাজ়। তিনি বলেন, “তৃতীয় সেটে ভাল খেলতে পারিনি। আমাকে প্রায় হারিয়ে দিচ্ছিল। এটা শুধরে নিতে হবে। মানসিক জোর ছিল বলে ম্যাচে ফিরে এসেছিলাম। শুরুর রাউন্ডগুলোতে স্ট্রেট সেটে জয় প্রয়োজন। তাতে আত্মবিশ্বাস বাড়ে।”
সদ্য উইম্বলডনজয়ী আলকারাজ় জিতলেও হেরে গেলেন অ্যান্ডি মারে। তিনটি গ্র্যান্ডস্ল্যামের মালিক এ বারের ইউএস ওপেনের দ্বিতীয় রাউন্ডেই হেরে গেলেন। গ্রিগর দিমিত্রভের বিরুদ্ধে স্ট্রেট সেটে হারলেন মারে। ৩৬ বছরের ব্রিটিশ টেনিস তারকা ২০১২ সালে ইউএস ওপেন জিতেছিলেন। তাঁকে দিমিত্রভ হারালেন ৬-৩, ৬-৪, ৬-১ গেমে। সময় নিলেন দু’ঘণ্টা ৪৬ মিনিট।
তৃতীয় রাউন্ডে পৌঁছে গিয়েছেন অ্যালেক্সান্ডার জ়েরেভ। তিন ঘণ্টা ৪৩ মিনিট লড়াইয়ের পর ৭-৬, ৩-৬, ৬-৪, ৬-৩ গেমে তিনি হারিয়ে দেন ড্যানিয়েল অল্টমায়েরকে। মেয়েদের লড়াইয়ে আরিয়ানা সাবালেঙ্কা সহজেই তৃতীয় রাউন্ডে পৌঁছে গিয়েছেন। তিনি জোডি বুরেজকে হারিয়ে দিয়েছেন ৬-৩, ৬-২ গেমে।