অগস্টেই শেষ হয়েছে সংসদের বাদল অধিবেশন। এর পরে ডিসেম্বরের গোড়ায় শীতকালীন অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা। তার মাঝেই আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে পাঁচ দিনের জন্য সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকল কেন্দ্র। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বৃহস্পতিবারই সেই ঘোষণা করেছেন। তিনি এক্স (সাবেক টুইটার)-এর মাধ্যমে জানিয়েছেন, আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে বসবে সংসদের বিশেষ অধিবেশন। পাঁচ দিনের অধিবেশন শেষ হবে ২২ সেপ্টেম্বর। কী কারণে এই অধিবেশন, তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি শুধু জানিয়েছেন, ‘অমৃত কালের দিকে তাকিয়ে কার্যকরী আলোচনা’র জন্য এই অধিবেশন।
স্পষ্ট করে কোনও কারণ না জানানোতেই শুরু হয়েছে জল্পনা। সাধারণ ভাবে কোনও বিশেষ সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্যই সংসদে বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়। কিন্তু এ বার ঠিক কোন বিষয়ে আলোচনা চাইছে মোদীর সরকার তা স্পষ্ট নয় বৃহস্পতিবারের সংক্ষিপ্ত এই ঘোষণায়। বছর পার হলেই লোকসভা নির্বাচন। আগেই তার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফেও শুরু হয়ে গিয়েছে সেই প্রস্তুতি। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার প্রতি দাম কমানোর পিছনেও লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে কি আরও বড় কোনও সিদ্ধান্তের জন্যই এই বিশেষ অধিবেশন?
প্রসঙ্গত, শারদীয়ার আগে যে সপ্তাহে সংসদে বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে সেখানেও উৎসবের আবহ থাকবে। কারণ, ১৭ সেপ্টেম্বর বিশ্বকর্মা পুজো আর ১৯ সেপ্টেম্বর গণেশ চতুর্থী। গোটা দেশেই সেই সময়ে কয়েক দিন ধরে চলে উৎসব। আর তখনই কেন সংসদে অধিবেশন? গত বাদল অধিবেশনেই কেন্দ্র ‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি’ নিয়ে সংসদে বিল আনতে পারে বলে জানা গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। মণিপুর পরিস্থিতি এবং বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনাতেই শেষ হয়ে যায় বাদল অধিবেশন। তবে কি বিশেষ অধিবেশন ডেকে তেমনই কোনও বিল আনতে চান নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহেরা?
তবে অনেকে আবার এমনটাও মনে করছেন যে, আচমকা বিশেষ অধিবেশন ডাকা হলেও তার পিছনে কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিল আনার মতো বিষয় না-ও থাকতে পারে। তার পরিবর্তে কেন্দ্রের তরফে কোনও কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হতে পারে সংসদে। আবার সদ্য শেষ হওয়া নতুন সংসদ ভবনে স্থায়ী ভাবে অধিবেশন নিয়ে যাওয়ার কাজটিও হতে পারে গণেশ চতুর্থীর শুভলগ্নে। সেই কারণেই হয়তো এই সময়টাকেই বেছে নেওয়া হয়েছে বিশেষ অধিবেশনের জন্য।