East Bengal vs NorthEast United: বর্ণবিদ্বেষ থেকে অভব্যতা, অভিযুক্ত লাল-হলুদ! ধেয়ে এল বিতর্কের মহাপ্রলয়

চলতি ডুরান্ড কাপে (Durand Cup 2023) অপরাজেয় তকমা ছিল নর্থইস্ট ইউনাইটেডের। (NorthEast United vs East Bengal) সেই দলকেই টাইব্রেকারে ৫-৩ হারিয়ে ইস্টবেঙ্গল চলে গিয়েছে ডুরান্ড ফাইনালে! গত মঙ্গলবার যুবভারতীতে কার্লেস কুয়াদ্রাতের শিষ্য়রা অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন করে জ্বালিয়ে রেখেছেন লাল-হলুদ মশাল। ১৭ বার ডুরান্ড ফাইনাল উঠেছে ইস্টবেঙ্গল। উপভোগ্য রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ চলাকালীনই ঘটে গিয়েছে একাধিক অনভিপ্রেত ঘটনা। এদিন যুবভারতীতে দুই ক্লাবের সমর্থকরাই এসেছিলেন প্রিয় দলের জয় দেখতে। তবে নর্থইস্টের বহু সমর্থকের ভয়ংকর অভিজ্ঞতা ঘটেছে সল্টলেক স্টেডিয়ামে এসে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁরা সরব হয়েছেন বর্ণবিদ্বেষ থেকে অভব্যতা নিয়ে। তাঁদের অভিযোগের তীর লাল-হলুদ সমর্থকদের দিকে। দুই দলের সমর্থকদের বসার জায়গা ও প্রবেশের গেট আলাদা করেও কোনও লাভ হল না। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের একাংশ নাকিনর্থইস্ট সমর্থকদের উদ্দেশ্য বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্য করেছেন। এমনই অভিযোগ। এর পাশাপাশি নর্থইস্ট ফ্যানদের কেউ কেউ বলছেন যে, লাল-হলুদ সমর্থকরা তাঁদের গায়ে থুতু ছিটিয়েছে, চটি-ইট ছুড়েছে। এমনকী অকথ্য ভাষায় নাকি পড়শি রাজ্যের সমর্থকদের গালিগালাজাও করেছেন।

বুধবার সন্ধ্যায় নর্থইস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় লম্বা বিবৃতি দিয়েছে, তারা লিখেছে, ‘মঙ্গলবার বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ইস্টবেঙ্গল এফসি-এর বিরুদ্ধে ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনাল ম্যাচ ছিল আমাদের, ম্যাচের সময় আমাদের কিছু ফ্য়ানরা বর্ণবাদ, গুন্ডামি এবং হিংস্রতার শিকার হয়েছে। যে ঘটনায় আমরা অত্যন্ত বিরক্ত। ফুটবল বা জীবনের কোনও ক্ষেত্রেই বর্ণবিদ্বেষের কোনোও স্থান নেই এবং আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে এই ধরনের আচরণের নিন্দা করছি। আমাদের ফ্যানরা আমাদের দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ, এবং আমরা যে কোনো ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকব। আমরা ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি টুর্নামেন্টের আয়োজক ও স্থানীয় আধিকারিকদের কাছে তুলে ধরেছি। আমরা অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং স্থানীয় পুলিস কর্তাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমাদের ফ্যানদের তারা পর্যাপ্ত সুরক্ষায় এবং তাদের পছন্দসই স্থানে ছেড়ে দিয়ে এসেছে। যার জন্য আমরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞও। নর্থইস্ট ইউনাইটেড সকল ফ্যানদের জন্য  নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, রং-মত-বর্ণ নির্বিশেষেই। আমাদের ম্যাচগুলিতে যাতে ঐক্য এবং বৈচিত্র্যের সঙ্গেই পারস্পরিক শ্রদ্ধার উদযাপনও হয়, তা নিশ্চিত করতে আমরা অক্লান্ত পরিশ্রম চালিয়ে যাব। আমাদের ভক্তদের কাছে, জানাতে চাই যে, আমরা আপনার পাশে আছি। আপনার আবেগ এবং অটুট সমর্থনই আমাদের ক্লাবকে বিশেষ করে তুলেছে এবং আপনি যাতে বৈষম্যের ভয় ছাড়াই আমাদের ম্যাচগুলি উপভোগ করতে পারেন তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা সবকিছু করব।’ এর জবাবে ইস্টবেঙ্গল বিবৃতি দিয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছে ‘ইস্টবেঙ্গল সমস্ত ধরনের বর্ণবিদ্বেষের নিন্দা করে৷ ফুটবলে বৈষম্যের কোনো অবকাশ নেই। এমন একটি খেলা যা মানুষকে একত্রিত করে।’

আগামিকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার যদি মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট (Mohun Bagan SG vs FC Goa) যুবভারতীতে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে, এফসি গোয়াকে হারিয়ে দিতে পারে, তাহলেই ফের আসবে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। আগামী রবিবার তাহলে কাপযুদ্ধের ফাইনালই হবে বড় ম্য়াচ। সেক্ষেত্রে ১৯ বছর পর ফের ডুরান্ড ফাইনালে কলকাতা ডার্বি হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.