পরা যাবে না ছেঁড়া জিনস, মুচলেকা দিতে হচ্ছে পড়ুয়াদের! কলেজের পোশাক ফতোয়ায় বিতর্ক

আচার্য জগদীশচন্দ্র বোস কলেজে পোশাকে ফতোয়া। ছেঁড়া জিনস বা অশোভন পোশাক পরা যাবে না বলে ভর্তির আগে মুচলেকা দিতে হচ্ছে ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের। কলেজের সিদ্ধান্ত ঘিরে দানা বেঁধেছে বিতর্ক।

অশোভন পোশাকের নামে কলেজ কর্তৃপক্ষের নীতি-পুলিসি? সাবালক পড়ুয়াদের ব্যক্তিস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন? ভর্তির আগে দিতে হচ্ছে মুচলেকা! ছেঁড়া জিনস বা অশোভন পোশাক পরা যাবে না। পরতে হবে সিভিল ড্রেস মানে সভ্য-ভদ্র পোশাক। উল্লেখ্য, কলেজের তরফে গতবছরও এরকম একটি নোটিস জারি করা হয়েছিল। তবে গতবছর  মুচলেকা দিতে বলা হয়নি। এবছর মুচলেকা দিতে বলা হল। উল্লেখ্য, আগে মুচলেকা দেওয়ার পর তারপরই ফর্ম ফিলআপ করতে পারেন পড়ুয়ারা। স্বাভাবিকভাবেই কলেজের বক্তব্য ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। একাংশ যেমন বলছে, যে এভাবে পোশাক বিধি ঠিক করে দেওয়া যায় না। ঠিক সেরকমই আরেকাংশ বলছে যে, ‘Indescent’ শব্দটা খুব আপেক্ষিক। কার কাছে কোনটা ভদ্র, শোভন, কার কাছে কোনটা নয়, তার কোনও নির্দিষ্ট মাপকাঠি নেই।

সেখানে দাঁড়িয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের এই ‘অশোভন’ পোশাক শব্দবন্ধে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। যদিও কলেজ অধ্যক্ষের বক্তব্য, কলেজে আসার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম-নীতি থাকা দরকার। একইরকমভাবে পোশাকের ক্ষেত্রেও কিছু নিয়ম-নীতি থাকা দরকার। সেই কারণেই এই নোটিস দেওয়া। গত বছরের পর এবছর। তবে গত বছর নোটিস জারির পরেও ১-২ শতাংশ পড়ুয়ার মধ্যে নিয়ম লঙ্ঘন করতে দেখা গিয়েছিল। তাই এবার নোটিস জারির পাশাপাশি একেবারে সই করিয়ে মুচলেকা লিখিয়ে নেওয়া হচ্ছে। শুধু পোশাক ফতোয়া জারি-ই নয়, যাদবপুরকাণ্ডের জেরে Ragging ইস্যুতেও কড়া অবস্থান নিচ্ছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজের তরফে বলা হয়েছে, এধরনের কোনও ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকলে বা চক্রান্তে যুক্ত থাকলে, কলেজ থেকে বের করে দেওয়া হবে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.