গান্ধী সংকল্প যাত্রায় নিরন্ন-অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াল বিজেপি

মহাত্মা গান্ধীর দেড়শত জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সারা অক্টোবর মাস জুড়ে দেশ জুড়ে গান্ধী সংকল্প যাত্রার কথা ঘোষণা করেছিলেন। সেইমত দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভারতের ইতিহাসে গান্ধীজিকে স্বরন করে শুরু হয়েছিল গান্ধি-পদযাত্রা। সারা দেশের পাশাপাশি এই সংকল্প যাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। এবার সেই গান্ধী সংকল্প যাত্রায় গান্ধীজির আদর্শকে সামনে রেখে জেলায়-জেলায় বিজেপি’র সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ নিতে দেখা গেল।

আর এই গান্ধী সংকল্প যাত্রায় ‘হৃদয়ে বাপু’ স্লোগানকে সামনে রেখে ‘গান্ধী সংকল্প যাত্রা’র অঙ্গ হিসেবে নিরন্ন, অসহায় মানুষদের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার উদ্যোগ নিল বাঁকুড়ার-বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপি। রবিবার আলোর উৎসব দীপাবলীর ঠিক আগের দিন শহরে এই প্রকল্পের সূচনা করলেন বাঁকুড়া জেলার বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। জানা গিয়েছে, এদিন তিনি শহরের বিভিন্ন প্রান্তে রাস্তা বা স্টেশনে রাত কাটানো অসহায় সহায় সম্বলহীন বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের খাবার পরিবেশন করেন।

বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সূত্রে খবর, তাঁদের এই সংকল্প যাত্রার অঙ্গ হিসাবে প্রাথমিক পর্যায়ে বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর শহরের রেল স্টেশন, বাস স্ট্যাণ্ড বিভিন্ন মন্দির, ঝুপড়িবাসী অসহায় মানুষদের সপ্তাহে অন্তত দু’দিন তাদের দলের পক্ষ থেকে খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, এই প্রকল্পের নাম ‘সংসদ মিল’ হলেও দলের সব সদস্যকে এই কাজে যুক্ত করা হচ্ছে। এই মুহূর্তে বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলায় ১ লক্ষ ৮০ হাজার সদস্য। প্রত্যেক সদস্য ১ জন করে অসহায় মানুষের খাবারের দায়িত্ব নিলে সেই সংখ্যা খুব দ্রুত প্রায় দু’লক্ষে পৌঁছে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছে বিজেপি’র জেলা সংগঠন কর্তৃপক্ষ।

সূত্রের খবর, ছিন্নমস্তা মন্দিরে সারা দিন বসে থাকার পর বিষ্ণুপুর স্টেশনে রাত কাটানো বৃদ্ধা কানন রুইদাস বলেন, ‘খুব ভালো লাগছে’। তিনি আরও বলেন, ‘যে কটা দিন বাঁচবো যেন এভাবেই খাবার পাই’। একই সঙ্গে সাংসদ সৌমিত্র খাঁ খুব তাড়াতাড়ি তাদের জন্য কম্বলের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছেন বলে তিনি জানান।

পরে সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেন, ‘সংসদ মিল’ হিসেবে পরিচিত এই প্রকল্প আমরা ‘সংকল্প মিল’ নাম দিয়েছি। রাস্তায় দিন কাটানো অসহায় মানুষদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে খাওয়ার বন্দোবস্তের পাশাপাশি, শাসক দলের দ্বারা বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত হয়ে কোর্টে হাজিরা দিতে আসা ৬০ বছরের উর্দ্ধে যে কেউ মাত্র দু’টাকার বিনিময়ে আপাতত সপ্তাহে এক বেলা খাবার পাবেন। দলের পক্ষ থেকে বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলায় গান্ধী সংকল্প যাত্রা শেষে শহরবাসীর এই প্রকল্প উপহার দেওয়া হল বলে তিনি জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.