দত্তপুকুর বিস্ফোরণে জঙ্গি কার্যকলাপের আশঙ্কা, এনআইএ তদন্ত দাবি করে অমিত শাহকে চিঠি সুকান্তর

দত্ত পুকুরের বিস্ফোরণের ঘটনায় এনআইএ তদন্ত চেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রবিবার পাঠানো চিঠিতে সুকান্ত দাবি করেছে বিস্ফোরণ কান্ডের পেছনে জঙ্গি কার্যকলাপও থাকতে পারে। তাই নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য এন আই এর হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়া হোক।

এই একই আর্জি জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। অন্যদিকে দত্তপুকুর ঘটনা নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। এগরা বিস্ফোরণের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়াকরি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে যে কোনো কাজ হয়নি, রবিবারের ঘটনা তারই প্রমাণ।

রবিবার সকাল আটটা নাগাদ ব্যাপক শব্দে কেঁপে ওঠে দত্তপুকুর। বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কমপক্ষে ৭ জন মারা গেছে বলে খবর। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের সহযোগিতায় এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বাজি কারখানা চালানো হচ্ছিল। একাধিকজন অভিযোগ জানালেও কোন কাজ হয়নি। এলাকাবাসীর দাবি কেরামত আলি নামে একজন ওই কারখানার মালিক। এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, ওই কেরামত আলি এবং তার ছেলে রবিউল আলির মৃত্যু হয়েছে বিস্ফোরণে।

বিস্ফোরণ স্থল পরিদর্শনের পর রাজ্যের মন্ত্রী রথীন ঘোষ জানান, পুরো ঘটনার পেছনে আইএসএফ নেতৃত্ব রয়েছেন। যদিও এই অভিযোগ ভাঙড়ের বিধায়ক নৌসাদ সিদ্দিকি উড়িয়ে দিয়েছেন। উপরন্তু তিনিও এন আই এ তদন্ত দাবি করেছেন।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে সুকান্ত মজুমদার উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, দত্তপুকুরের ঘটনার গুরুত্ব বিশাল । সেখানে যা ঘটেছে তা রাজ্যের জন্য একটি বিপদ সংকেত। এই অপরাধের তদন্ত নিশ্চিত ভাবে হওয়া প্রয়োজন।

দত্তপুকুর নিয়ে সমাজ মাধ্যমে মমতা সরকারকে কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, এগরা কাণ্ডের পর রাজ্য সরকার জানিয়েছিল, তারা আতশবাজি শিল্প নিয়ন্ত্রণ করছে। পরে দাবি করা হয় অবৈধ কারখানার আর অস্তিত্বই নেই। রাজ্য মন্ত্রিসভায় সবুজ বাজি তৈরীর জন্য ক্লাস্টার স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়, হরেকৃষ্ণ ত্রিবেদীর নেতৃত্বে এটি কমিটি গঠন করে। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে ওটা পুরোটাই ছিল প্রচারের জন্য, কারণ সেই সময় জনমানষের ক্ষোভ ছিল বিপুল। শুভেন্দুর অভিযোগ, অবৈধ বাজি কারখানা নিয়ে যে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ করা হয়নি সেটা দত্তপুকুরের ঘটনা তার আরও একবার প্রমাণ করল। তার আরও দাবি, এমন বিস্ফোরক উৎপাদনের জন্য তৃণমূল দলের স্বার্থ জড়িয়ে আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.