যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি গেটে এবং হস্টেলের গেটে এক্স-সার্ভিসম্যান মোতায়েন করার অর্ডার দিল কর্তৃপক্ষ। মোট ৩০ জন এক্স-সার্ভিসম্যান নিয়োগ করা হবে। প্রতি শিফটে ১৫ জন করে কাজ করবেন। এছাড়া থাকবেন ২ জন সুপারভাইজার। মূলত গেট দিয়ে যাতে অবাঞ্ছিত কেউ না ঢুকতে পারে সেই দিকেই নজর রাখবেন এই এক্স-সার্ভিসম্যানরা। পাশাপাশি প্রয়োজন হলে রাতে ক্যাম্পাসেও টহল দেবে এই এক্স-সার্ভিসম্যানদের গ্রুপ। এর পাশাপাশি, ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সিসিটিভি বসানোর ওয়ার্ক অর্ডার ইস্যু করেছে কর্তৃপক্ষ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি জায়গায় দু’ধরনের সিসিটিভি ক্যামেরা বসবে। যার মধ্যে ২১টি বুলেট ক্যামেরা আর ৫টা এএনপিআর ক্যামেরা বসবে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপেন এয়ার থিয়েটার বা ওএটি-তে প্রায় ৫০০ মদের বোতলের স্তূপ উদ্ধারের প্রসঙ্গে অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বলেন, ‘এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে কেন বসানো দরকার সিসিটিভি। কড়া নিরাপত্তা দরকার বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রথম পর্যায়ে গেটগুলো আর হস্টেলে সিসিটিভি বসানো হবে। তারপর ইসরোর সঙ্গে পরামর্শ করে যেখানে যেমন বলবে, তেমন ভাবে বসানো হবে সিসিটিভি। ইসরো একটি প্রতিনিধি দল পাঠাবে।’ শুক্রবার বিকালে সিসিটিভি লাগানোর জন্য ওয়ার্ক অর্ডার ইস্যু করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ওয়ার্ক অর্ডারে সই করেছেন রেজিস্ট্রার। ৩ সপ্তাহের মধ্যে সিসিটিভি লাগানোর কাজ শেষ করতে হবে বলে বলা হয়েছে। একটি সরকারি সংস্থাকে দিয়েই সিসিটিভি বসানো হবে। যাদবপুরে মোট ১০ জায়গায় বসানো হবে ২৬টি সিসিটিভি ক্যামেরা। মেইন ক্যাম্পাসের ১ থেকে ৫ নম্বর গেটে বসছে ১০টি সিসিটিভি। গাড়ির নজরদারিতে থাকছে ২টি এনপিআর ক্যামেরা। হস্টেলে বসছে ১১টি সিসিটিভি আর ৩টি এনপিআর ক্যামেরা। সিসিটিভি লাগানোর জন্য সরকারের কাছে কর্তৃপক্ষ প্রায় ৩৭ লাখ টাকা চেয়েছে বলে সূত্রের খবর।
এর পাশাপাশি, র্যাগিং রুখতে ইসরোর প্রযুক্তি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমনাথের সঙ্গে এই নিয়ে কথাও বলেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। রাজ্য়পালকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থাও। একইসঙ্গে হায়দরাবাদের অ্যাডভান্সড ডেটা প্রসেসিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সঙ্গেও এই নিয়ে আলোচনা করেছেন তিনি। এই বিষয়টি ফলপ্রসূ করতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে। তবে শুধু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নয়। রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়েই ইসরোর প্রযুক্তি ব্যবহার করে র্যাগিং আটকাতে চান রাজ্যপাল। ইসরোর প্রতিনিধিরা যেদিন আসবেন সেদিন বৈঠকে রাজ্যপালও উপস্থিত থাকতে পারেন বলে জানা গিয়েছে রাজভবন সূত্রে। ইতিমধ্যেই ইসরোর সঙ্গে বৈঠক করেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিকভাবে শুধু যাদবপুর নিয়ে ইসরোর সঙ্গে কথা হলেও রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়েই এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে র্যাগিং আটকাতে চান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।