গত ৫ অগস্ট রাজ্যসভায় ঘোষণা করা হয়, জম্মু-কাশ্মীরকে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হবে। একটি জম্মু কাশ্মীর। অপরটি লাদাখ। সেইমতো ৩১ অক্টোবর কেন্দ্রশাসিত জম্মু কাশ্মীরের প্রথম লেফটেন্যান্ট জেনারেল হচ্ছেন গিরিশচন্দ্র মুর্মু। তিনি ১৯৮৫ সালের গুজরাত ক্যাডারের অফিসার। এখন তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যয় সংক্রান্ত দফতরের সচিবের পদে আছেন। আগামী নভেম্বর মাসে তাঁর অবসর নেওয়ার কথা আছে।
কেন্দ্রশাসিত লাদাখের লেফটেন্যান্ট গভর্নর হচ্ছেন রাধাকৃষ্ণ মাথুর। তিনি ১৯৭৭ সালের ব্যাচের অফিসার। একসময় মুখ্য তথ্য কমিশনার ছিলেন। গত বছর নভেম্বরে তিনি অবসর নিয়েছেন। গিরিশচন্দ্র মুর্মু এবং রাধাকৃষ্ণ মাথুর, দু’জনেই শপথ নেবেন আগামী বৃহস্পতিবার।
জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের শেষ রাজ্যপাল সত্যপাল মালিককে পাঠানো হচ্ছে গোয়ায়। তিনি সেখানকার রাজ্যপাল হবেন। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে শুক্রবার একথা জানানো হয়েছে।
সত্যপাল মালিক জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল থাকার সময় কেন্দ্রীয় সরকার দু’টি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নেয়। প্রথমত সংবিধানের ৩৭০ ধারা লোপ করা হয়।
দ্বিতীয়ত জম্মু-কাশ্মীরকে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভেঙে দেওয়া হয়। ২০১৮ সালের অগস্টে জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন সত্যপাল মালিক। সেই প্রথমবার কোনও রাজনীতিককে সেখানকার রাজ্যপাল করা হয়। তার আগে বরাবর কোনও প্রাক্তন আমলাকে জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল করা হয়েছে। সত্যপাল মালিক বদলি হওয়ার পরে ফের একজন প্রাক্তন আমলাকে জম্মু-কাশ্মীরের প্রশাসনিক প্রধানের পদে বসানো হল।