শেষ মুহূর্তে বাতিল হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। এনিয়ে শুক্রবার হাওড়া স্টেশনে তুমুল বিক্ষোভ দেখালেন যাত্রীরা। পাশাপাশি সমস্যায় পড়ে গেলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসও। এদিন তাঁর মালদহ যাওয়ার কথা ছিল। মালদহে তিনি যাচ্ছিলেন মিজোরামে সেতু দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে।
গতি ও সাচ্ছন্দের জন্য এই ট্রেনের টিকিট কেটেছিলেন যাত্রীরা। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য শেষ মুহূর্তে বাতিল করা হয় বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রা। ওই কথা শোনার পরই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন যাত্রীরা। তবে বন্দে ভারতের পরিবর্তে নতুন একটি ট্রেন দেওয়া হয়। কিন্তু ট্রেনে আসন ও পানীয় জলের ব্যবস্থা খুবই খারাপ এই অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান যাত্রীরা।
ক্ষুব্ধ এক যাত্রী বলেন, বন্দে ভারতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্ত সেটি বাতিল করা হয়েছে। কেন্দ্র সরকারের অবস্থা খুব খারাপ। বন্দে ভারত বাতিল করে অন্য় একটি ট্রেন দিয়েছে। ট্রেনে কোনও এসি চলছে না। বাথরুমে জল নেই। মোদী সরকার চাঁদে চন্দ্রযান নামিয়ে দিয়ে মনে করছে অনেক কিছু করে ফেলেছে। এতটাকা দিয়ে চিকিট কেটেছি। এখন দেখি এসি বন্ধ।
এনিয়ে পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনের ডিআরএম সঞ্জীব কুমার জানান, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়েছে। যাত্রী নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে আজকের বন্দে ভারত এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়েছে। এর পরিবর্তে স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ট্রেনটি এক ঘণ্টা দেরিতে সকাল সাতটা নাগাদ ৭ নম্বর প্লাটফর্ম থেকে ছেড়ে যায়। বন্দে ভারতের প্রতিটি ট্রিপের পরই বিস্তারিতভাবে পরীক্ষা করা হয়। সেই পরীক্ষার সমেয় গিয়ারে কিছু সমস্যা দেখা গিয়েছে। তাই বন্দে ভারতের বদলে অন্য ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অন্যদিকে, বন্দে ভারত বাতিল হওয়ায় আটকে পড়েন রাজ্যপালও। আজ তাঁর মালদহ যাওয়ার কথা ছিল। মিজোরামে একটি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন নির্মাণ শ্রমিক। মালদহে তাঁদের পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে সাক্ষাত করতে যাচ্ছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তিনিও শেষপর্যন্ত ওই স্পেশাল ট্রেনেই মালদহের উদ্দেশ্য রওনা দেন।