বাংলাদেশের মাটিতে ফের আক্রান্ত হিন্দুরা। গত কয়েকদিন আগে সে দেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের ধর্মীয়স্থানে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী।
গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে একাধিক প্রতিমা। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতকে দফায় দফায় বাংলাদেশ পুলিশ জেরা শুরু করেছে। কীভাবে এই ঘটনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাংলাদেশ প্রশাসনের তরফে সবরকম নিরাপত্তা দেওয়ার কোথা বলা হয়েছে।
বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর মোতাবেক পিরোজপুরের জেলার নাজিরপুর উপজেলায় তিনটি মন্দিরে ভাঙচুর চলে দুষ্কৃতীরা। উপজেলার দীর্ঘা ইউনিয়নের কলারদোয়ানিয়া বাজার ও কলারদোয়ানিয়া গ্রামে মন্দিরে হামলা হয়। যদিও হামলার সময় এলাকার মানুষজন রুখে দাঁড়ায়। হাতেনাতে একজন দুস্কৃতীকে ধরে ফেলেন সেখানকার মানুষজন।
জানা গিয়েছে, উপজেলার কলারদোয়ানিয়া বাজার সর্বজনীন দুর্গা মন্দির, কলারদোয়ানিয়া গ্রামে শ্রী শ্রী রাধাগোবিন্দ সেবাশ্রম ও কালি মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শুধু ঘটনাস্থলে নয়, কালীপুজোর উৎসবে বাংলাদেশে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্যে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। বিভিন্ন বাংলাদেশের কালীমন্দির থেকে মন্ডপগুলিও নিরাপত্তার ঘেরাটোপে থাকবে বলে বাংলাদেশ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে এই ঘটনায় তদন্ত চলছে বলেও জানানো হয়েছে।