কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক প্রকল্প থেকে রাজ্যের মানুষকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এই অভিযোগ তুলে বারবারই সরব হয় পদ্ম শিবির। আয়ুষ্মান ভারত রাজ্যে পরিকল্পিতভাবেই চালু করতে দেওয়া হয়নি বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তারা। তবে এবার আর রাজনৈতিক পরিসরে সরব হওয়া নয়, এবার সোজা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে কেন বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করা হচ্ছে এই প্রশ্ন তুলে একেবারে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন তিনি।
সঠিক ভাবে হিসেব দিতে না পারার অভিযোগে এরই মধ্যে ১০০ দিনের টাকা বন্ধ হয়েছে রাজ্যে। যদিও তৃণমূল বারবার অভিযোগ করেছে কেন্দ্র এই টাকা রাজনৈতিক অভিসন্ধি থেকে বন্ধ করেছে। কিন্তু এবার তৃণমূলকে এর পাল্টা দিতে শুধু মৌখিক লড়াইতে না থেমে সরাসরি আদালতে গেল বিজেপি। তাদের দাবি, কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি বন্ধ হয়ে যাওয়ার প্রায় দেড় লক্ষ কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত হয়েছে বাংলার গ্রামের মানুষ। তাই মঙ্গলবার এই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সুকান্তর করা জনস্বার্থ মামলা আগামী সপ্তাহে প্রধান বিচারপতি টি এস শিব জ্ঞানম এবং হিরন্ময় ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
সুকান্ত নিজে হাইকোর্টে এসে বলেন, নরেন্দ্র মোদী সরকারের প্রকল্পের কথা যাতে মানুষ জানতে পারে সেজন্য পঞ্চায়েতে কেন্দ্র সরকারের তরফে কমন সার্ভিস সেন্টার চালু করা হয়েছিল। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার রাজ্যের প্রায় ৪০ হাজার সি এস সি(কমন সার্ভিস সেন্টার) বন্ধ করে দিয়েছে। সুকান্তর অভিযোগ, বাংলার মানুষ যাতে কেন্দ্রীয় পরিষেবার কথা জানতে না পারেন সেই জন্যে এই পদক্ষেপ করেছে রাজ্য।
সুকান্ত বলেন, সিএসসি’র মাধ্যমে পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে সামগ্রিক তথ্য জানতে পারতেন গ্রামের মানুষ। কিন্তু ২০২০ সালে মুখ্যমন্ত্রী সেই পরিষেবা তুলে দেন। পরিবর্তে বাংলা সেবা কেন্দ্র নামে একটি সেন্টার খোলা হয়েছে।
জনস্বার্থ মামলা করে সুকান্ত প্রশ্ন তুলেছেন, কেন্দ্রীয় পরিষেবা কেন বন্ধ করা হলো? সুকান্ত বলেন, রাজ্যের বিভিন্ন পঞ্চায়েত অফিসে কমপক্ষে দেড় লাখ ছেলে মেয়ের কর্মসংস্থানের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছে রাজ্য। তাই পঞ্চায়েত অফিসগুলিতে কেন্দ্রীয় পরিষেবা আবার চালু করা হোক। প্রায় ২০০ কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা নানাভাবে পাক রাজ্যের মানুষ।