টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত বাঁকুড়ার স্বাভাবিক জনজীবন। জেলার উত্তর থেকে দক্ষিণ প্রায় সব ক’টি নদীতেই জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে। স্কুল কলেজ গুলিতে ছাত্র ছাত্রীদের হাজিরা হাতে গোনা। খুব জরুরী প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বাড়ির বাইরে বেরোচ্ছেননা।
বাঁকুড়ার মিনপুর সংলগ্ন দ্বারকেশ্বর নদীর ভাসাপুলের উপর দিয়ে জল বইতে শুরু করেছে। ফলে নদীর ওপারের পাতাকোলা, জামবনী সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ ভীষণ সমস্যায় পড়েছেন।
দীর্ঘ সাত-আট কিলোমিটার ঘুরে তাদের বাঁকুড়া শহরে আসতে হচ্ছে। এইভাবে বৃষ্টির দাপট বাড়তে থাকলে পরিস্থিতি আরো ভয়ঙ্কর হতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা শিবু কালিন্দী বন্যা পরিস্থিতির তৈরী হতে পারে আশঙ্কা করে বলেন, জল যেভাবে বাড়ছে তাতে নদীর ওপারে থাকা একশোরও বেশী গ্রামের সঙ্গে বাঁকুড়া শহরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে ভয়ানক পরিস্থিতির মুখোমুখি তারা হবেন বলেও তিনি জানান।
এছাড়াও দক্ষিণ বাঁকুড়ার শিলাবতী, কংসাবতী সহ অন্যান্য নদী গুলিতেও জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে। শিলাবতী নদীতে যেভাবে জল বাড়ছে তাতে সিমলাপালের পাথরডাঙ্গা কজওয়ে যেকোন মুহূর্তে জলের তলায় চলে যেতে পারে। ফলে লক্ষীসাগর-বাঁকুড়া ভায়া হাড়মাসড়া বাস যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে সমস্যায় পড়বেন অসংখ্য মানুষ।
অন্যদিকে, বাঁকুড়া শহরের কানকাটা এলাকায় এলআইসি কোয়ার্টারের প্রায় ৫০ টি বাড়ি জলমগ্ন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। ১৬ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় ঐ আবাসনের নিকাশী ব্যবস্থা ঠিক ঠাক না থাকার কারণেই এই অবস্থা বলেই আবাসিকরা দাবী করেছেন।
যদিও জেলাপ্রশাসনের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত না হতে অনুরোধ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রশাসন সদা সতর্ক রয়েছেন।