মেদিনীপুর ও খড়্গপুরের সংযোগস্থলে দেশপ্রাণ বীরেন্দ্র সেতুর উপর জোর কদমে চলছে লোড টেস্টিং বা ভার বহন পরীক্ষা। সোমবার (২১ আগস্ট) রাত ১১টা পর্যন্ত বীরেন্দ্র সেতুর ভার বহন ক্ষমতা পরীক্ষা করার কাজ চলবে। তার আগে ছাড় দেওয়া হয়েছে শুধুমাত্র অ্যাম্বুলেন্সকে।
এদিকে, জেলা শহর মেদিনীপুর এবং রেল শহর খড়্গপুরের বাসিন্দাদের কথা ভেবে শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সকাল থেকে মেদিনীপুর শহরের উপকন্ঠে আমতলা ঘাটে অবস্থিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে বাইক আরোহী ও পথচারীদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদ, মেদিনীপুর পৌরসভা এবং পুলিশ-প্রশাসনের তৎপরতায়। তবে, রাত পর্যন্ত এই সাঁকোতে প্রবল চাপ পড়ায়, তা বেশ কিছু জায়গায় বিপজ্জনকভাবে বসে যায় বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়। ফলস্বরূপ শুক্রবার রাতেই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয় এই সাঁকো দিয়ে শুধুমাত্র পায়ে হেঁটে পারাপার করা যাবে। বিকল্প হিসেবে শনিবার সকাল থেকে ফেরি সার্ভিস বা নৌকার মাধ্যমে যোগাযোগ চালু করা হয় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের উদ্যোগে।
শনিবার সকাল ১০টা-১১টা থেকেই মেদিনীপুর শহরের উপকন্ঠে আমতলা ঘাট থেকে খড়্গপুর গ্রামীণের বড়কলা পর্যন্ত ফেরি সার্ভিস চালু করা হয় জরুরি ভিত্তিতে। ২টি নৌকার মাধ্যমে আপদকালীন এই যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয় সাধারণ মানুষের স্বার্থে।
উল্লেখ্য যে, বাঁশের সাঁকো চালু হওয়ার পর এই ফেরি সার্ভিস প্রায় বন্ধ অবস্থায় পড়ে ছিল। দুই শহরের বাসিন্দাদের কথা ভেবে ফের তা চালু করা হল শনিবার। নৌকোতে বাইক, স্কুটি চাপিয়ে যাত্রীরা সহজেই দুই শহরের মধ্যে পারাপার করতে পারছেন। এজন্য মাত্র ১০-টাকা করে নেওয়া হচ্ছে যাত্রীদের কাছ থেকে। তবে, সাঁকো দিয়ে যাঁরা হেঁটে পারাপার করছেন, তাদের কোনো টাকা লাগছে না। সাঁকোর উপর মোটর বাইক, স্কুটি প্রভৃতি তোলা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে শুক্রবার রাত থেকেই। নিরাপত্তা এবং নজরদারির জন্য আমতলা ঘাটে কোতোয়ালি থানার পুলিশ এবং মেদিনীপুর পৌরসভা ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা আছেন। অপর প্রান্তেও আছেন খড়্গপুর গ্রামীণ থানার পুলিশ কর্মীরা।