চাঁদের পরিক্রমা সম্পূর্ণ হয়েছে। ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর তৈরি চন্দ্রযান-৩ এ বার চাঁদের মাটিতে নামতে চলেছে। শনিবার গভীর রাতে ল্যান্ডার বিক্রমের সর্বশেষ কক্ষপথ পরিবর্তনের ধাপটি সম্পন্ন হয়েছে। চাঁদের পথে শেষ পরিকল্পিত কক্ষপথে পৌঁছে গিয়েছে বিক্রম। এ বার পাখির পালকের মতো চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ (সফ্ট ল্যান্ডিং) করবে সে।
শনিবার রাত ২টো নাগাদ বিক্রমের শেষ কক্ষপথ পরিবর্তন করানো হয়েছে। ইসরো জানিয়েছে, পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়েছে বিক্রম। এই মুহূর্তে বিক্রমের সঙ্গে চাঁদের সবচেয়ে কম দূরত্ব মাত্র ২৫ কিলোমিটার। সবচেয়ে বেশি দূরত্ব ১৩৪ কিলোমিটার। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে বিক্রম অবতরণের চেষ্টা করবে আগামী বুধবার, ২৩ অগস্ট।
বিক্রমের পেটের ভিতর রয়েছে রোভার প্রজ্ঞান। চার বছর আগে এই পর্যায়ে এসেই ব্যর্থ হয়েছিল ভারতের চন্দ্র অভিযান। সব ধাপ সম্পন্ন হওয়ার পরেও চাঁদের মাটি ছোঁয়ার আগের মুহূর্তে ল্যান্ডারের সঙ্গে ইসরোর বিজ্ঞানীদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। এই পর্যায়টিকে তাই চাঁদের অভিযানের সবচেয়ে কঠিন পর্যায় বলে মনে করা হচ্ছে।
যদিও এ বার তেমন কিছু হবে না বলেই জানিয়েছে ইসরো। তাদের দাবি, যাবতীয় বাধা মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত চন্দ্রযান-৩। ইসরোর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার বিক্রমকে এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যে, সমস্ত সেন্সর-সহ তার দু’টি ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গেলেও ২৩ অগস্ট সেটি চাঁদের মাটিতে নামতে পারবে। তবে শর্ত একটাই, এর প্রোপালশন সিস্টেম ঠিকমতো কাজ করা চাই।
অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টারের ‘লঞ্চিং প্যাড’ থেকে ১৪ জুলাই দুপুর ২টো ৩৫ মিনিটে চন্দ্রযান-৩-এর সফল উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। বুধবার বিকেলে, উৎক্ষেপণের ৪১ দিন পর ল্যান্ডার বিক্রমের চাঁদের মাটি ছোঁয়ার কথা। এই অভিযান সফল হলে আমেরিকা, রাশিয়া এবং চিনের পর চতুর্থ দেশ হিসাবে চাঁদে মহাকাশযান অবতরণে নাম উঠে আসবে ভারতের।