কলকাতা লিগে আবার জিতল ইস্টবেঙ্গল। শনিবার নৈহাটি স্টেডিয়ামে তারা পড়শি দল এরিয়ানকে হারিয়ে দিল ২-০ গোলে। দুটি গোলই এসেছে প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে। জেসিন টিকে এবং আমন সিকে গোল করেছেন ইস্টবেঙ্গলের হয়ে। কলকাতা লিগে ১০ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট হল লাল-হলুদের। ফলে সুপার সিক্সের দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলে তারা।
প্রথমার্ধে চার মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। প্রথম মিনিটেই গোল করেন জেসিন। এরিয়ানের দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে নিলেও জেসিনের সামনে ছিলেন তিন ডিফেন্ডার। তাঁদের পেরিয়ে দূর থেকেই বাঁ পায়ে জোরালো শট করেন তিনি। নিখুঁত জায়গায় বল রাখার কারণে এরিয়ানের গোলকিপার কিছুই করতে পারেননি।
দ্বিতীয় গোলটি আসে তিন মিনিট পরে। ডান দিক থেকে একাই বল নিয়ে দৌড়েছিলেন আমন। সোজা বক্সে ঢুকে পড়েন। বিপক্ষের গোলকিপার আকাশ এগিয়ে এসেছিলেন। গোলকিপারের নাগাল এড়িয়ে বাঁ পায়ের গড়ানো শটে দ্বিতীয় পোস্ট দিয়ে গোল করেন আমন।
চোট-আঘাতে জর্জরিত ইস্টবেঙ্গলের সামনে এরিয়ানের লড়াই বেশ কঠিনই ছিল। উপায় না দেখে প্রথম দলের অনেক ফুটবলারকেই প্রথম একাদশে রেখেছিলেন কোচ বিনো জর্জ। গোলকিপার হিসাবে আদিত্য পাত্রের প্রত্যাবর্তন ছাড়াও মহম্মদ রাকিপ, গুরসিমরত সিংহ গিল, গুরনাজ সিংহ গ্রেওয়াল, তুহিন দাস, তন্ময় দাসকে রাখা হয়েছিল।
দ্বিতীয় মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল ইস্টবেঙ্গলের সামনে। কিন্তু পি ভি বিষ্ণুর শট বাঁচিয়ে দেন এরিয়ানের গোলকিপার। সাত মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের গোলকিপারকে একা পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি এরিয়ানের অচিন্ত্য। ১৪ মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করে ইস্টবেঙ্গল। এরিয়ানের ফাঁকা গোলেও বল ঠেলতে পারেননি সঞ্জীব।
এর পর দুই দলই একে অপরকে আক্রমণ করতে থাকে। কিন্তু কেউই গোল করতে পারেনি। তবে প্রথমার্ধের শেষের দিকে এরিয়ানের পর পর দু’টি ভুলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে গোল করে ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয়ার্ধে বিষ্ণুও এরিয়ানের গোলকিপারকে কাটিয়ে গোল করতে পারেননি। তার পরেও একাধিকবার এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল ইস্টবেঙ্গলের সামনে। ফুটবলারেরা সুযোগগুলি কাজে লাগাতে পারেননি।
এই জয়ের ফলে ইস্টবেঙ্গল গ্রুপে শীর্ষস্থানেই থাকল। সুপার সিক্সের যোগ্যতা অর্জন আরও সহজ হল লাল-হলুদের সামনে।