রাজ্যে NRC হবে আর পাকিস্তানের মুসলিমদের তাড়ানো হবে : রাহুল

পশ্চিমবঙ্গে বহু অনুপ্রবেশকারী রয়েছে। এরা হল পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান সহ অন্যান্য রাষ্ট্রের মুসলিম সম্প্রদায় এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা।

বৃহস্পতিবার বিজেপি জাতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা জানান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান সহ অন্যান্য রাষ্ট্র থেকে আসা যে সমস্ত মুসলিম সম্প্রদায়ের লোক এখানে অনুপ্রবেশ করেছে, যারা বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করেছে। এবং বহাল তবিয়তে এখানে রেশন কার্ড ও ভোটার লিস্টে নাম তুলে ভারতীয় সেজে রয়েছেন, তাদেরকে চিহ্নিত করে এবার এদেশ থেকে বিতাড়িত করা হবে।

অন্যদিকে তিনি আবার মুসলিম সম্প্রদায়ের পাশেও দাঁড়িয়েছে। বিজেপি কলকাতা সদর দফতরে বসে জানান, যারা ভারতীয় মুসলমান তারা আমাদের সমান মর্যাদা সম্পন্ন নাগরিক থাকবেন। তাদের নাগরিকত্বে কোনও কাটছাট হবেনা। ভারতীয় মুসলমান আর হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক যারা আছেন, এরা সবাই ভারতীয় নাগরিক। এদের মধ্যে কোনও ভেদাভেদ নেই।

সম্প্রতি সংবাদ সংস্থার মুখোমুখি হয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গী বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী নন। এনআরসি হবে কি হবে না, সেই সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সরকার নেবে। উনি কেন এত চিন্তা করছেন? যদি কেন্দ্র এনআরসি বাস্তবায়িত করার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে ওনার কিছুই করার থাকবে না।’

শিলিগুড়িতে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি হতে দেব না। আমি আপনাদের পাহারাদার। একটা মানুষকেও বাংলা থেকে যেতে দেব না। যারাই এরাজ্য়ে বসবাস করেন তারাই বাংলার বাসিন্দা। যাদের বয়স ১৮ হয়েছে তাদের এখনই ভোটার তালিকায় নাম নথিভূক্ত করতে হবে। আমরা রাজ্যে কোনও ভেদাভেদ মেনে নেব না। আমি মমতা ব্যানার্জি। আমি যদি বলি শুধু ব্যানার্জি থাকবে আর কেউ থাকবে না! এটা আমি ভাবতেই পারি না। বরং ব্যানার্জি চলে যাক। মানুষ থাকুক। এটাই আমি চাই।’

এনআরসির বিরোধিতা করতে গিয়ে এদিন রামমোহন রায়, বিদ্যাসাগর, সুভাষচন্দ্র বসুর নাম নেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘যারা দেশে নবজাগরণের ঘটিয়েছেন, যাদের আন্দোলনে দেশ স্বাধীন হয়েছে তাঁরাই আমাদের এদেশে থাকার অধিকার অর্জন করেছেন। তাই কোনও দেশবাসীকে কেন্দ্রীয় সরকার তাড়াতে পারবে না।’

এর আগে বিজয়বর্গী বলেছিলেন, ‘‘বিজেপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আপনাদের আশ্বস্ত করে বলছি, এনআরসি করা হবেই। একজন হিন্দুকেও দেশছাড়া করা হবে না। প্রত্যেক হিন্দুকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে’’। একইসঙ্গে বিজয়বর্গীয় বলেন, ‘‘কয়েকজন রয়েছেন, যাঁরা জনমানসে অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করছেন’’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.