উত্তরপ্রদেশে আরো একবার যোগী আদিত্যনাথের ঝড় দেখা যাচ্ছে। উত্তরপ্রদেশ মূলত জাতপাতের রাজনীতির জন্য কুখ্যাত ছিল। হিন্দুদের নানা জাতিতে ভেঙে দিয়ে রাজনীতি চলতো। এখন সেই রাজনীতি প্রায় বন্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। যোগী আদিত্যনাথ মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে হিন্দুদের একতা বৃদ্ধি হতে দেখা যাচ্ছে। যার প্রমান নির্বাচনের ফলাফলেও দেখা মিলল। উত্তরপ্রদেশের এগারটি আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এগারোটি আসনে বিজেপি সাতটি আসন জিতেছে এবং তাদের মিত্র দল একটি আসন জিতেছে। সমাজবাদী পার্টি তিনটি আসন জিতেছে। পাঞ্জাবের ৪ টি আসনে বিধানসভা উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই চারটি আসনে কংগ্রেস তিনটি আসন জিতেছে। শিরোমণি আকালি দল একটি আসন পেয়েছে।
কংগ্রেস জালালাবাদ, ফাগওয়ারা ও মুকারিয়ান আসন এবং আখালি দল দখার আসনটি জিতেছে। মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংহ চারটি বিধানসভা আসনের মধ্যে তিনটিতে তাঁর দলের জয়ের কথা বলেছেন। উনি বলেছেন এটা প্রমান করে যে ভোটাররা আখালীদের নেতিবাচক এজেন্ডাকে সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করেছেন। এই জয়ের পরে, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং বলেছিলেন, কংগ্রেসের উপর আস্থা রাখার জন্য আমি ভোটারদের কাছে কৃতজ্ঞ, এই উপনির্বাচনে আমি এই বিজয়টি আমার কর্মীদের কাছে উত্সর্গ করছি। যারা আমার সরকার দ্বারা করা কার্য ও উন্নয়ন জনগণ অবধি পৌঁছে দিয়েছেন। দিনরাত কাজ করার জন্য তাদের ধন্যবাদ জানায়।
বিহার বিধানসভা উপনির্বাচনেও ভারতীয় জনতা পার্টি জোট কোনও বড় সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। উপ-নির্বাচনের ফলাফল জেডিইউর জন্য একটি বড় ধাক্কা। জেডিউর চারটির মধ্যে দুটি আসন কেড়ে নিয়েছে এবং একটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে, আর বিজেপিও জেডিইউ থেকে একটি আসন কেড়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী করণজিৎ সিং দারোন্ডা বিধানসভা আসনে ২৭ হাজার ভোটে জয়লাভ করেছেন। তিনি জেডিইউর প্রার্থী অজয় সিংকে পরাজিত করেছেন। উপনির্বাচনের ফলাফল এখনও জেডিউ নেতাদের প্রতিক্রিয়া আসেনি। এছাড়াও নাথনগর আসনটি কারচুপি করার অভিযোগ উঠেছে।