‘দীর্ঘদিন ধরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে রাষ্ট্রবিরোধী, দেশ বিরোধী এবং সমস্ত রকম অন্যায়ের আতুড়ঘরে পরিণত করেছেন বাম ও অতিবাম, যাঁদের ছাত্র হওয়ার বয়স নেই,তাঁরা’। বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর মতে, ‘মুক্ত চিন্তা, মুক্ত মন, এটা আমরা মনে করি একটা মানসিক বিকার’।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডু মৃত্যুতে তোলপাড় চলছে। কীভাবে হস্টেলের বারান্দা থেকে নিচে পড়ে গেল প্রথম বর্ষের ওই পড়ুয়া? হস্টেলে কি র্যাগিংয়ের শিকার হয়েছিল সে? তদন্তে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার ৯। ধৃতের তালিকায় যাদবপুরের প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্ররা।
এদিকে স্বপ্নদীপের মৃত্যুর প্রতিবাদে চার দিন ধরনা কর্মসূচি নিয়েছে ABVP। এদিন সেই ধরনায় যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘এই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের আগামীদিনের একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ, আমাদের অত্যন্ত আদরের এই ছাত্রটিকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। গ্রাম থেকে, জেলা থেকে পড়তে আসা, এই আদরের সোনার টুকরো আমাদের ভবিষ্যৎ,এই মাত্র সাড়ে সতেরো বছর বয়সে আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন, কেড়ে নেওয়া হল। এই মৃত্যুটাকে শুধুমাত্র সাধারণ, স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে গ্রহণ করছি না’।
যাদবপুরকাণ্ডে ফের একবার রাজ্যের শাসকদলকে নিশানা করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘প্রথম যে ধরা পড়েছিল সৌরভ। এই সৌরভ বাংলার পক্ষের নেতা। এরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পে-রোলে রয়েছে। নো ভোট টু বিজেপি-র প্রচার করেছিল। শুধু এরা নয়,যাঁরা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে কর্তৃপক্ষ হিসেবে জড়িয়ে আছেন, তাঁরা দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারেন না’। সঙ্গে হুঁশিয়ারি, ‘যাদবপুরে নাকি বন্দেমাতরম নিষিদ্ধ! এই তথাকথিত টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং-কে আমরা উপড়ে ফেলব। জম্ম-কাশ্মীর থেকে আসা একজন গ্রেফতার হয়েছে। আমাদের পুলিশের ওপর ভরসা নেই। আমরা লড়াই চালিয়ে যাব। পরিবার অনুমতি দিলে নিরপেক্ষ সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করাব। এটা যেন শেষ ঘটনা হয়’।
এদিকে স্বপ্নদীপের মৃত্যুর পর এবার কড়াকড়ি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। পড়ুয়াদের নিরাপত্তার স্বার্থে ক্য়াম্পাসে প্রবেশে ক্ষেত্রে পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নিল কর্তৃপক্ষ। রাত ৮টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত চালু থাকবে এই নিয়ম। বাড়ছে সিসিটিভি-র নজরদারিও।