উত্তর কর্নাটকের বিভিন্ন অংশে ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জনজীবন। তলিয়ে গেছে অনেক গ্রাম। বাগলাকোট, বালেগাভি, রায়চুর, হাভেরি এবং বাল্লারি জেলার বিস্তীর্ণ অংশ জলের নীচে । মঙ্গলবার পর্যন্ত ভারী বৃ্ষ্টিতে মারা গেছে ১২ জন ।দেবদুর্গা তালুকের চিনচোড়ি গ্রামে জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে ১৬ বছরের এক কিশোর।
বৃষ্টিতে রাজ্যের ১২ টি জেলার অবস্থা খুবই খারাপ ।হুভিনাহাডাগালি তালুকে ভেঙে পড়েছে ৬৭টি বাড়ি। মলপ্রভা নদীর জলে ভেসে গিয়েছে হুব্বালি ও বালগাকোটের মধ্যে সংযোগকারী রাস্তা। ঐতিহাসিক গ্রাম চোলাচাগুড্ডাও জলের নীচে। নষ্ট হয়েছে ৮০০০ হেক্টর জমির শস্য। চিত্রদুর্গা জেলায় অনেক গবাদি পশু ভেসে গেছে। বিপুল সংখ্যক লোককে ত্রাণ কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে, টুঙ্গভদ্রা বাঁধ থেকে ১.৭৫ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়ার পরে হোসাপেটে টুঙ্গভদ্রা নদীটি বিপদসীমাছাড়িয়ে গেছে। হাম্পির বেশিরভাগ স্মৃতিসৌধ ডুবে গেছে।মুদহোল তালুকে বন্যার জলের মধ্যে দাঁড়িয়ে কর্নাটকের উপ-মুখ্যমন্ত্রী গোবিন্দ কারজোলের উদ্দেশ্যে একটি চিঠি পড়ে এক স্কুলছাত্রী। তাদের গ্রামে এসে পরিস্থিতি দেখতে মন্ত্রীকে অনুরোধ জানায় মেয়েটি। তার এই চিঠি পড়ার ভিডিয়ো ইতোমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। জলের তোড়ে আটকা পড়া পাঁচ মেষপালককে তুঙ্গভদ্রা ড্যামের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। জলের নীচে ডুবে গিয়েছে রামদেব মন্দির এবং কাম্পলি-গঙ্গাবতী সেতু।আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গেছে, আগামী তিন-চার দিন টানা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শনিবার অবধি দক্ষিণ কন্নড়, উদুপী এবং উত্তরা কান্নাদার উপকূলীয় জেলাগুলিতে রেড অ্যালার্ট জারি থাকবে। উত্তর কর্ণাটকের বেলগাভি, ধরওয়াদ, গাদাগ, হাভেরি, কপাল, মাইসুরু, চামারজানগর, চিককমলগুরু, শিবমোগা এবং কোডাগু জেলার জন্য কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।