ডুরান্ড কাপের ডার্বির আগে ফুরফুরে মেজাজে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। কলকাতা লিগে ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (এফসিআই)-কে ৫-০ গোলে হারাল সবুজ-মেরুন। যদিও যে দল ডুরান্ডে খেলবে সেই দলের প্রায় কেউই কলকাতা লিগের ম্যাচে খেলেননি। তরুণদেরই নামিয়েছিলেন কোচ বাস্তব রায়। তাঁদের দিয়েই কার্যসিদ্ধি করলেন তিনি। এফসিআইকে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকায় কালীঘাট মিলন সঙ্ঘ ও ডায়মন্ড হারবার ক্লাবকে টপকে শীর্ষে চলে গেল সবুজ-মেরুন।
কলকাতা লিগের পরিচিত মুখ সুহেল আহমেদ ভাটকে খেলাননি বাস্তব। ডুরান্ডেও নিয়মিত খেলছেন সুহেল। ডার্বিতে তাঁকে খেলাতে পারেন কোচ জুয়ান ফেরান্দো। সেই কারণে হয়তো তাঁকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। তার পরেও কিয়ান নাসিরি, নংদোম্বা নাওরেম, রাজ বাসফোরেরা আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলছিলেন। লাগাতার আক্রমণের ফলও পায় বাগান। ২৭ মিনিটে দলের প্রথম গোল করেন রাজ। কর্নার থেকে বল পান দীপেন্দু বিশ্বাস। তাঁর পাসে গোল করেন রাজ। ১-০ এগিয়ে যায় বাগান। বিরতির ঠিক আগেই ব্যবধান আরও বাড়ান ভিয়ান মুরগড। টাইসন সিংহ দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সের মধ্যে ভিয়ান জন্য বল সাজিয়ে দেন। গোল করেন ভিয়ান। ২-০ এগিয়ে বিরতিতে যায় বাগান।
দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণের ধার কমায়নি বাগান। ৫৭ মিনিটেই দলের তৃতীয় গোল করেন নাওরেম। এফসিআইয়ের রক্ষণের ভুলে বল পেয়ে যান নাওরেম। গোল করতে ভুল করেননি ভারতের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ খেলা ফুটবলার। খেলা যত গড়াচ্ছিল, চাপ তত বাড়াচ্ছিলেন সবুজ-মেরুন ফুটবলারেরা। এফসিআইয়ের ফুটবলারদের শারীরিক ভাষা দেখে বোঝা যাচ্ছিল, হার মেনে নিয়েছে তারা। তবে তখনও বাগানের গোল করা বাকি ছিল।
৮৪ মিনিটের মাথায় ব্যবধান ৪-০ করেন দিপেন্দু। বাগানের এই ডিফেন্ডার প্রতিপক্ষ বক্সে গিয়ে টাইসনের ক্রসে হেড দিয়ে গোল করেন। দু’মিনিট পরে লাল কার্ড দেখেন এফসিআইয়ের ফুটবলার। সংযুক্তি সময়ে দলের পাঁচ নম্বর গোল করেন টাইসন। দু’টি গোল করানোর পরে অবশেষে গোল করেন বাগানের এই উইঙ্গার। গতিতে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের পরাস্ত করে বক্সে ঢুকে ডান পায়ের শটে গোল করেন টাইসন। ৫-০ গোলে জিতে মাঠ ছাড়ে বাগান।