লাগাতার যুদ্ধ বিরতি লঙ্ঘন করা পাকিস্তানি সেবা বারবার ভারতের কাছে মোক্ষম জবাব পাচ্ছে। গত এক সপ্তাহে পাকিস্তানে সেনা, রেঞ্জার্স আর আইএসআই এর তরফ থেকে ভাড়া করা স্নাইপার আর জঙ্গিদের নিয়ে তৈরি বর্ডার অ্যাকশন টিম (BAT) মিলে জম্মু কাশ্মীরের বর্ডার সংলগ্ন কোন না কোন যায়গায় ফায়ারিং করেই চলেছে। তাঁদের প্রধান উদ্দেশ্য হল যে করেই হোক, ভারতে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ করানো। যদিও কিছুদিন ধরে পাকিস্তান সীমান্তে একটি নতুন ভয়ের উদয় হয়েছে।
ভারতীয় সেনার সুত্র অনুযায়ী, সীমান্তের ওপার থেকে ফায়ারিং করার পর পাকিস্তানি সেনা আর পাকিস্তান সমর্থিত জঙ্গিরা প্রাণ ভয়ে সীমার থেকে দুই কিমি পিছনে দৌড়ে পালায়! এর আগে ওরা তাঁদের সেনার ছাউনিতেও লুকিয়ে থাকত। এখন ওদের মনে ভয় একটাই যে, ভারতীয় সেনা যেকোন সময় পাকিস্তান সীমান্তে থাকা জঙ্গি ছাউনি গুলোতে আঘাত হানতে পারে। কয়েকদিন আগেই জম্মু কাশ্মীরের তংধার সেক্টরে পাকিস্তানি সেনা আর তাঁদের সাথে থাকা জঙ্গিদের পালাতে দেখা গেছে।
কাশ্মীরে ডিউটিরত এক সেনা আধিকারিক জানান, জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার পর থেকে পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু করেই আসছে। কখনো ওদের সেনা ফায়ারিং করছে, তো কখনো রেঞ্জার্স ফায়ারিং করছে। এছাড়াও আইএসআই এর স্নাইপার আর জঙ্গিরা এলওসিতে এসে ফায়ারিং করে যাচ্ছে। পাকিস্তানের প্রয়াস হল, পাক অধিকৃত কাশ্মীর যতগুলো জঙ্গিরা প্রশিক্ষণ শিবিরে আছে, তাঁদের এক থেকে দুই মাসের মধ্যে ভারতে প্রবেশ করিয়ে দেওয়া।
এখনো পর্যন্ত বর্ডারে অনুপ্রবেশের প্রচুর প্রয়াস ব্যার্থ করেছে ভারতীয় সেনা। ২০১৬ এর সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর ভারতীয় সেনা পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের বালাকোটে ঢুকে এয়ার স্ট্রাইক করে সমস্ত জঙ্গি শিবির গুঁড়িয়ে দিয়ে এসেছিল। আর এরপর দিন কয়েক আগে তংধার সেক্টরে ভারতে বসে ভারতীয় সেনারা তোপ স্ট্রাইক করে পাকিস্তানের জঙ্গি শিবির উড়িয়ে দিয়ে কয়েকজন জঙ্গি এবং সেনাকে খতম করেছিল।