হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর বেঞ্চ থেকে একটি অর্ডার বের হয়। যে অর্ডারটির সঙ্গে একটি চিঠি জেলা বিজেপি নেতৃত্ব জমা করতে গিয়েছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সুপারের কাছে। কিন্তু পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা না হওয়ায় কমিশনার সাহেবের কাছে চিঠিটি জমা দেন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।
জেলা বিজেপি সভাপতি জানান, আমরা পুলিশ সুপারের কাছে সম্পূর্ণরূপে একটি রিপোর্ট দিতে গিয়েছিলাম যেখানে যেখানে বিজেপির কর্মীরা শাসক দলের ভয়ে বাইরে আছে, যেখানে যেখানে পুলিশ রিপোর্ট নেয়নি, সেইসব এলাকার এবং থানার লিস্ট জমা করতে গিয়েছিলেন পুলিশ সুপারের কাছে। কিন্তু পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে বিজেপি নেতৃত্ব কোনরকম সুযোগ-সুবিধা পায়নি বলে তিনি অভিযোগ করেন। এরপর মূল বিষয়টি হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা বেঞ্চে সরে যায় এবং বিচারপতি অমৃতা সিনহা পুরো বিষয়টির ওপর দুটি অর্ডার দেন।
পশ্চিম মেদিনীপুর পুলিশ সুপারকে ডাকা হয়েছিল কিন্তু তিনি যাননি। প্রতিনিধি হিসাবে কোনো পুলিশ আধিকারিক গিয়েছিলেন। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল আপনারা কি ব্যবস্থা নিয়েছেন? কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি। তখন বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানিয়েছেন, আগামী ৪ সেপ্টেম্বর পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকারকে স্বশরীরে হাইকোর্টে হাজিরা দিতে হবে। এবং তাকে জানাতে হবে যে তিনি কি ব্যবস্থা নিয়েছেন, বা কি ব্যবস্থা নেবেন?
এছাড়াও দ্বিতীয়টি হলো পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় বিগত পঞ্চায়েত ভোটে ছাপ্পা সহ জেলায় যে অশান্তি হয়েছিল, তার পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টে কেস করেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বিজেপির সভাপতি তাপস মিশ্র।
বিচারপতি অমৃতা সিনহা এই বিষয়ে জানান, কেশিয়ারি, নারায়ণগড়, গড়বেতা ব্লকে কাউন্টিংয়ের সিসিটিভি ফুটেজ কোর্টে জমা করতে হবে। পঞ্চায়েত ভোট যে কার্যত প্রহসনে পরিণত হয়েছে তা এই রায়ের মাধ্যমেই কার্যত জানান দিচ্ছেন হাইকোর্টের মাননীয়া বিচারপতি।
যেটা বিজেপি সভাপতি তাপস মিশ্র এও বলেন, যে রায় বেরিয়েছে হাইকোর্ট থেকে সেই রায় বিজেপির কর্মীরা আরো বেশি উদ্বুদ্ধ হলো। পাশাপাশি বিচার ব্যবস্থার প্রতি অটুট আস্থা থাকলো বলেই তিনি জানান।