মহিলাদের ফুটবল বিশ্বকাপ (FIFA Women’s World Cup 2023) চলছে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্য়ান্ডে (Australia and New Zealand)। সারা উইগম্যানের (Sarah Wiegman) ইংল্যান্ড লায়োনেসেস (England Lionesses) অন্যতম ফেভারিট এবারের টুর্নামেন্টে। গত দু’বারের সেমিফাইনালিস্টরা গত গ্রীষ্মে ইউরো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তাদের উপরেই অনেকে বাজি ধরেছে। ‘সিংহীরা’ কিন্তু ধীরে ধীরে কাপের কাছে এগিয়ে আসছেন। রুদ্ধশ্বাস পেনাল্টি শ্যুটআউটে ইংল্যান্ড ৪-২ নাইজেরিয়াকে হারিয়ে, চলে গিয়েছে শেষ আটে। কিন্তু এই খুশির মাঝেও, ইংল্যান্ড মহিলা দলের বুক ভেঙেছে। তার কারণ যথেষ্ট গুরুতর। ইংলিশ ফরোয়ার্ড লরেন জেমস (Lauren James) জঘন্য কাণ্ড ঘটিয়ে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছেড়েছেন! চলতি টুর্নামেন্টে নাইজেরিয়ার ডেবোরা আবিওদুনের (Deborah Abiodun) পর এটিই দ্বিতীয় মার্চিং অর্ডার।
২১ বছরের লরেন জেমস, নাইজেরিয়ান ডিফেন্ডার, মিশেল আলোজিকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। এরপর দু’জনেই পড়ে যান মাঠে। এরপর নাইজেরিয়ানের পিঠের উপর দাঁড়িয়ে, তাঁকে বুট দিয়ে পিষেছেন ইংরেজ। স্বাভাবিক ভাবেই এক ম্য়াচ নির্বাসিত হয়েছেন তিনি। কিন্তু লরেনের বিশ্বকাপ অভিযান এবারের মতো শেষ হয়েও যেতে পারে! কারণ ফিফা তাঁর অপরাধ খতিয়ে দেখে তিন ম্যাচ জন্য় নির্বাসিত করতে পারে। শেষ আটে ইংল্যান্ড খেলবে কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার কলম্বিয়া ১-০ গোলে জামাইকাকে হারিয়ে, শেষ আটে উঠে ইতিহাস লিখেছে। শেষ আটের ম্যাচের পরেই ফিফা জানাবে যে, লরেন আর খেলতে পারবেন কি পারবেন না! আপাতত লরেনের ভাগ্য ঝুলে থাকল!
লরেনের ‘মোমেন্ট অফ ম্যাডনেস’ দেখে অনেকের ১৯৯৮ সালে ডেভিড বেকহ্যামের কীর্তির কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। ব্রিটিশ কিংবদন্তি দিয়েগো সিমিওনোকে লাথি মেরেছিলেন মাটিতে শুয়ে। ফ্রান্সে ইংল্যান্ড সেদিন আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে রাউন্ড অফ সিক্সটিনের ম্যাচ খেলছিল। লরেন পরে ড্রেসিংরুমে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন এবং সতীর্থদের থেকে ক্ষমাও চেয়েছেন। অনেকেই মনে করছেন যে, লরেনের বয়স অল্প, তাই তিনি এই কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছেন। এখন দেখার ইংল্যান্ড ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা দ্য ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ওরফে এফএ, তাদের ফুটবলারের শাস্তি কমানোর জন্য ফিফা-র কাছে আবেদন করে কিনা!