Dengue | Kolkata: ডেঙ্গির মরসুমে মশার আঁতুড়ঘর ৩ নম্বর ওয়ার্ড, রেগে আগুন ফিরহাদ

কলকাতা পুরসভার ৩ নম্বর বোরোর অধীনে রয়েছে ১৩ নম্বর ওয়ার্ড। উল্টোডাঙা এলাকার সিংহভাগ অংশ নিয়ে এই ১৩ নম্বর ওয়ার্ড তৈরি। মশার প্রকোপ যে দিন দিন বেড়েই চলেছে, তা স্বীকার করে নিয়েছেন এলাকার তৃণমূল জনপ্রতিনিধি তথা সংশ্লিষ্ট বরোর চেয়ারম্যান অনিন্দ কিশোর রাউত। ডেঙ্গুর মরশুম আসতেই কপালের ভাঁজ চওড়া হয়েছে পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকরিকদের।

কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থা কোল ইন্ডিয়ার একটি গোডাউন রয়েছে ওই ওয়ার্ডে। যেখানে যাবতীয় পরিত্যক্ত সামগ্রী রাখা হয়। কলকাতা পুরসভার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গোডাউন সহ বিশাল ফাঁকা অংশের বেহাল দশার জন্য এখনও পর্যন্ত মোট ১১ বার নোটিশ ইস্যু করা হয়েছে। কিন্তু কোনও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করেনি ওই গুদামের দায়িত্বে থাকা কর্মী বা আধিকারিকরা।

এই গোডাউনে ঢুকলেই ভয়ংকর ছবি ধরা পড়ে। একাধিক পরিত্যক্ত সামগ্রী সেখানে পড়ে রয়েছে বলে দেখা যায়। পাশাপাশি বৃষ্টির জল সেখানে জমা হচ্ছে। মশার লার্ভা এবং মশা চারপাশে ভয়ঙ্কর আকারে রয়েছে। মশার বারবারন্তর জন্য এই কেন্দ্রীয় সংস্থার গোডাউন এবং সেখানে রাখা থাকা পরিত্যক্ত সামগ্রীগুলি কীভাবে দায়ী, তা রিপোর্টে উল্লেখ করে হেলথ সেক্রেটারিকে জমা দেওয়া হবে মঙ্গলবারের মিটিং-এ।

গত বছর উত্তর কলকাতার মধ্যে সবথেকে বেশি ডেঙ্গি হয়েছিল এই তিন নম্বর বোরোতেই। তিনশোর বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন শুধুমাত্র উল্টোডাঙ্গা, কাঁকুড়গাছি এবং বেলেঘাটা অঞ্চলে।

কলকাতা পুরসভার ডেঙ্গি নিয়ে বৈঠকে তিন নম্বর বোরোর চেয়ারম্যান অনিন্দ্য কিশোর রাউত জানান এই এলাকায় বেশ কয়েকটা কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ কোম্পানির জমি রয়েছে, যাদেরকে বারবার নোটিশ ইস্যু করার পরেও কোনও কিছুই হচ্ছে না।

অবশেষে মঙ্গলবার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নিয়ে সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে আসেন কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ এই জমিগুলি। এসে পরিস্থিতি দেখে কার্যত মেজাজ হারালেন মেয়াদ ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ‘মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলে আবার কলকাতা পুরসভার দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলছে বিজেপি। আর এসবের বিরুদ্ধে কিছু করতে গেলেই ইডি সিবিআই দেখিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে তাদের’।

লোক দিয়ে পরিষ্কার করানোর পরেও এদিন ওই এলাকায় ঢুকে দেখা গেল ডেঙ্গির মশার আঁতুড়ঘর হয়ে রয়েছে গোটা এলাকা। থিকথিক করছে মশার লার্ভা। মশার দাপটে বেশিক্ষণ দাঁড়াতেও পারলেন না তারা।

ডেপুটি মেয়র তথা স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ জানালেন, ‘১১ তারিখের পর মিউনিসিপাল কোর্টে কেস করা হবে এই দুটি সংস্থার নামে। ফিরহাদের আরও গুরুতর অভিযোগ, ‘পরিষ্কার করার জন্য চিঠি পাঠালে বা পরিষ্কারের অর্থের বিল পাঠালে তা ছিঁড়ে ফেলে দেয় কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ এই সংস্থারা’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.