কীভাবে চাকরি? নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ৭ প্রাথমিক শিক্ষককে তলব করল সিবিআই। আগামিকাল, বুধবার চাকরি সংক্রান্ত নথি নিয়ে তাঁদের হাজিরা দিতে হবে কলকাতার নিজাম প্যালেসে। মুর্শিদাবাদের পর এবার নজরে বাঁকুড়া।
সূত্রের খবর, ২০১৪ সালে টেটের ভিত্তিতে নিয়োগপত্র পান ওই ৭ শিক্ষক। কত সালে? ২০১৭। যে ৭ শিক্ষককে তলব করেছে সিবিআই, তাঁরা বাঁকুড়ার শালতোড়া পশ্চিম, ওন্দা দক্ষিণ, বিষ্ণুপুর, রানীবাঁধ উত্তর, তালডাংরা পূর্ব, সারেঙ্গা ও বাঁকুড়া সদর পশ্চিম চক্রে কর্মরত।
বাঁকুড়া জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি বসুমিত্রা সিংহ জানান, ‘৫ অগস্ট চিঠি এসেছে। চিঠিতে ছিল, এই সাতজন শিক্ষককে তলব করা হয়েছে। তাঁদেরকে জানিয়ে দেওয়া হোক, তারা যেন, যথা সময়ে উপস্থিত থাকে। সিবিআইয়ের সাথে মুখোমুখি হন। ওদের যেতে হবে নিজাম। আমি চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছি’। হাজিরা দেবেন? তিনি বলেন, ‘সেটা আমি বলতে পারব না। আমি শুধু চিঠিটা পাঠিয়ে দিয়েছি’।
এর আগে গতকাল, সোমবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ৪ প্রাথমিক শিক্ষককে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয় আদালত। ধৃতরা হলেন জাহিরউদ্দিন শেখ, সাইগার হোসেন, সিমার হোসেন ও সৌগত মণ্ডল। তাঁরা সকলেই মুর্শিদাবাদ জেলার নবগ্রামে বাসিন্দা। ২১ অগস্ট পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে থাকতে হবে ধৃতদের।
সূত্রে খবর, ধৃত ৪ শিক্ষক-ই তাপস মণ্ডলকে টাকা দিয়েছিলেন। জাহিরুদ্দিন শেখ তাপস মন্ডলকে দেন সাড়ে ৫ লাখ টাকা। সৌগত মণ্ডল দেন সাড়ে ৫ লাখ টাকা। সাইগার হোসেন ও সিমার হোসেন দুই ভাই। দুই ভাই-ই দেন সাড়ে ৫ লাখ টাকা করে। অর্থাৎ এই ৪ জন-ই মোট দিয়েছিল ২২ লাখ টাকা। আরও একজন দিয়েছিল ১ লাখ টাকা। অর্থাৎ, মোট ২৩ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। তাপস সেই টাকা দেন কুন্তল ঘোষকে। কুন্তলের মাধ্যমে সেই টাকা পৌঁছয় পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ একজনের কাছে।