অবশেষে রেলের তরফে মিলল আশ্বাস। বীরভূমের মুরারই স্টেশনে উঠল ট্রেন অবরোধ কর্মসূচি। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অপেক্ষার পর চলতে শুরু করল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস-সহ বিভিন্ন ট্রেন।
ট্রেনের স্টপেজ বৃদ্ধি-সহ একগুচ্ছ দাবি নিয়ে মুরারই স্টেশনে রেললাইনে বসে রবিবার বিক্ষোভ শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের নেতৃত্বে রয়েছে নিত্যযাত্রীদের একটি সংগঠন। ‘মুরারই নাগরিক কমিটি’ নামে ওই সংগঠনের অবরোধের ফলে সকাল থেকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস আটকে পড়ে নলহাটি জংশনে। পাশাপাশি, মুরারই স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে সাহেবগঞ্জ-রামপুরহাট প্যাসেঞ্জার ট্রেন-সহ কয়েকটি ট্রেন। যার জেরে চরমে পৌঁছয় যাত্রিদুর্ভোগ।
করোনা আবহে মুরারই স্টেশনে বেশির ভাগ ট্রেন থামত না। কিন্তু করোনা পরবর্তী সময়েও বহু ট্রেনই ওই স্টেশনে দাঁড়াচ্ছে না বলে নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ। এ নিয়ে রবিবার বিক্ষোভ শুরু হয়। তাতে শামিল হন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বও। রেল পুলিশের বিশাল পুলিশ বাহিনী বিক্ষোভস্থলে পৌঁছয়। কিন্তু তাঁদের সমস্যার সমাধান না হলে অবরোধ তোলা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। এর মধ্যে রেলের এক প্যানেলকর্মীকে কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, তাঁকে তাঁর অফিসের ঘর থেকে বার করে দেন তৃণমূল নেত্রী ফাল্গুনী সিংহ ও তাঁর সঙ্গীরা।
মুরারই স্টেশনে বিক্ষোভ চললেও তার আগে এবং পরের স্টেশনে আসা-যাওয়া করা ট্রেনগুলির উপর নজরদারি রাখা জরুরি। সেই গুরুত্বপূর্ণ কাজের দায়িত্বে থাকা রেলকর্মীকে বার করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। অন্য দিকে, এই অবরোধের জেরে ভোগান্তির শিকার হন দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনের যাত্রীরা।