জলপাইগুড়ি রাজবাড়ির পুকুরে মাছের খাবার দেওয়ার উদ্যোগ জলাভূমি সংরক্ষণ কমিটির

 জলপাইগুড়ি রাজবাড়ির পুকুরে মাছের তুলনায় খাবারের জোগান কম। এই কারণে পুকুরে মাছের খাবার দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করল জলপাইগুড়ি জলাভূমি সংরক্ষণ কমিটি। শনিবার খাবার দেওয়ার পাশাপাশি পুকুর পরিস্কার করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় জলাভূমি সংরক্ষণ কমিটির তরফে। এদিন মাছের খাবার থার্মোকলের ভেলায় তুলে পুকুরজুড়ে ছিটিয়ে দেওয়া হয়।

উদ্যোক্তাদের দাবি, খোল, গুড়, তুস, ভুট্টার গুড়ো, শুটকি মাছের গুড়ো মিশিয়ে মাছের খাবার তৈরি করা হয়। প্রায় পাঁচ কুইন্টাল খাবার দেওয়া হয়েছে। পুকুরে ফেলে দেওয়া আবর্জনা মুক্ত করে জৈব বৈচিত্র রক্ষার জন্যই এই উদ্যোগ করা হয়েছে। উদ্যোক্তাদের দাবি, প্রতিবছরই রাজবাড়ি পুকুর পরিস্কার করে মাছের খাবার দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, পুকুরের জল যেন পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকে এর জন্য সাফাই করা ও পুকুর রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। তাদের দাবি, পুকুরকে ভালোবেসে এই উদ্যোগ গ্রহণ করেন তাঁরা। প্রতিবছর কয়েক কুইন্টাল মাছ ছাড়া হয়। এবারও মহালয়ার আগে কয়েক কুইন্টাল চারা পোনা মাছ ছাড়া হবে। রাজবাড়ি পুকুরে মাছ প্রতিবছর ছাড়ার ফলে পুকুরে প্রচুর মাছ হয়েছে। ফলে মাছের খাবারের একটা ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এই কারণে সমিতির তরফে মাছের খাবার দেওয়া হয়।

সমিতির সদস্য শুভদীপ দাস বলেন, প্রতিবছর রাজবাড়ির দিঘিতে মাছ ছাড়া হলেও এবার পুকুরে জল কম থাকায় মার্চ মাসে ছাড়া হয়নি মাছ। সমিতির সদস্যদের টাকা দিয়েই মাছের পোনা কিনে ছাড়া হবে মহালয়ার আগে। এছাড়া রাজবাড়ির পুকুর পরিস্কার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মাছ ধরে বিক্রি করা হয় না। শুধু মাত্র মাছ ধরার নেশার তাগিদে এই উদ্যোগ নেওয়া। আমরা সকলে এখানকারই বাসিন্দা। পুকুরকে ভালোবাসে পরিস্কার করে মাছের খাবার যেমন দেওয়া হল এরপর মাছও ছাড়া হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.