NASA’s Voyager 2 Spacecraft: কসমিক? প্রায় ৫০ বছর ধরে নিখোঁজ মহাকাশযানের সঙ্গে যোগাযোগ হল…

হারিয়ে গিয়েছিল ভয়েজার-টু মহাকাশযান। অবশেষে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা গেল। মহাকাশে নানা প্রতিবন্ধকতাময় স্তর সে পেরিয়েছে। এর আগেও অবশ্য অনেক যুদ্ধ জয় করেছে ভয়েজার-টু। এর আগে সে বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস ও নেপচুন ভ্রমণ করে ফেলেছে! মাসখানেক আগে এ হেন বিরল মানের মহাকাশযানের সঙ্গে সব রকম যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল মার্কিন মহাকাশ সংস্থা ‘নাসা’র। অবশেষে ৪৬ বছর বয়স্ক মহাকাশযানটির সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করতে সক্ষম হলেন বিজ্ঞানীরা। বলা হচ্ছে, প্রত্যাশিত সময়ের আগেই নতুন করে যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হয়েছে যানটির সঙ্গে।

নাসা জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার ভয়েজার-টু মহাকাশযান থেকে পাঠানো সংকেত ধরতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা। এর আগে, গত মাসে যানটিকে আসলে একটি ভুল নির্দেশ পাঠানো হয়েছিল। ফলে সে সাড়া দেয়নি। ইতিমধ্যে সেটি অবস্থান বদলও করে ফেলে। ফলে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় যোগাযোগ। এখন ভয়েজার-টু-এর অ্যান্টেনা পৃথিবীর দিকে ফিরেছে বলে জানা গিয়েছে। 

বিজ্ঞানীরা আশা করছিলেন, আগামী অক্টোবর মাস নাগাদ ভয়েজার-টু-র সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হতে পারে। তবে আশার কথা, এর মাসদুয়েক আগেই সফল হলেন বিজ্ঞানীরা। প্রসঙ্গত, এর আগে ভয়েজার-টু মহাকাশযান বৃহস্পতি (১৯৭৯), শনি (১৯৮১), ইউরেনাস (১৯৮১) ও নেপচুন (১৯৮৯) ভ্রমণ সেরে ফেলেছে!

১৯৭৭ সালে ভয়েজার-টু মহাকাশে পাঠিয়েছিল নাসা। মহাকাশযানটি মহাজাগতিক রশ্মি প্রবাহের মুখে পড়েছে। এটি ইন্টারস্টেলার স্পেসেও ঢুকতে পেরেছে। এলাকাটি সৌরঝড়ে তৈরি বুদ্‌বুদের প্রান্ত বা হেলিওস্ফিয়ার হিসেবে পরিচিত। হেলিওস্ফিয়ার হল সূর্যের চারপাশে ও গ্রহগুলির চারপাশের সুবিশাল বুদ্‌বুদ, যা সৌর উপাদান ও চৌম্বকক্ষেত্র দ্বারা প্রভাবিত। ভয়েজার-১-এর পরে এটিই মানুষের তৈরি দ্বিতীয় মহাকাশযান, যা ইন্টারস্টেলার স্পেসে ভ্রমণ করেছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.