ডায়মন্ড হারবার ট্রাফিক গার্ডে আগুন ধরিয়ে দিল উত্তেজিত জনতা। প্রাণ বাঁচাতে দৌড়ে পালালেন পুলিস কর্মীরা। স্কুল পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ডায়মন্ড হারবার রোড। শুধু তাই নয়, ডায়মন্ড হারবার ট্রাফিক গার্ডের অফিসেও ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়ে কন্ট্রোল রুমে। ট্রাফিক গার্ডের বাইরে থাকা তিনটি বাইকেও আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৩০০ জনেরও বেশি ক্ষিপ্ত জনতা আচমকা ট্রাফিক গার্ডের অফিসে ঢুকে পড়ে। প্রথমেই সিঁড়ির নিচে, রেড কেস সেকশন, সেখানে ভাঙচুর চালানো হয়। এই রেড কেস সেকশনে ১৫দিনের কেস ফাইল রাখা থাকে। যাদের গাড়ির কেস হয়, সেই সমস্ত পাবলিক এই রেড কেস জোনেই আসেন। পুরোটাই তছনছ হয়ে যায়। এক পুলিস কর্তা জানান, ক্যাশ বাক্সতে ১৫ হাজার টাকা ছিল। ঘটনার পরে সেটা উধাও হয়ে যায়।
এর পরেই রয়েছে প্রসেস সেকশন, কম্পিউটার সেকশন এবং কন্ট্রোল রুম। এই তিনটিই রয়েছে একটা রুমের মধ্যে। পুরোটাই ভেঙে চুরমার করে দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। শেষে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় সেখানে। কম্পিউটার, ল্যাপটপ, স্ক্যানার মেশিন থেকে শুরু করে যাবতীয় সরঞ্জাম আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
এর পরের রুমটাই অফিসার ইনচার্জ অমলেন্দু চক্রবর্তীর। তার ঘরের ভেতরটাও একই অবস্থা। চেয়ার, টেবিল ভাঙচুর করা হয়। ভাঙচুর করা হয় জানালার কাঁচও। ল্যাপটপ ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁর।
এর পরেই রয়েছে সার্জেন্ট রুম। উত্তেজিত জনতা ভাঙচুর চালায় সেখানেও। এমনকি শেষে আগুন পর্যন্ত ধরিয়ে দেয় সেখানে।
যখন ক্ষিপ্ত জনতা ট্রাফিক গার্ডে ভাঙচুর চালাচ্ছে তখন সেখানে মাত্র ৩জন পুলিস কর্মী ছিলেন এবং ব্যারাকে ছিলেন ৪জন পুলিস কর্মী। অর্থাৎ মোট ছিলেন ৭জন পুলিস কর্মী ছিলেন সেখানে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্রাফিক গার্ডে যেভাবে ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা, সেই সময়ে এই ৭পুলিশ কর্মী কোনও রকমে সেখান থেকে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন।