দেবযানী সরকার: এখানে গেলে বলতে হয় ‘জয় কালী করাচিওয়ালি’৷ অনেকে যেমন বলেন জয় কালী কলকাত্তেওয়ালি, অনেকটা সেরকমই৷ ইসলামিক প্রজাতন্ত্র পাকিস্তানেও রয়েছে সতী পীঠ৷ দেবীপুরাণ মতে, সতীর ৫১ পীঠের দুটি পীঠ রয়েছে পাকিস্তানে৷ এরমধ্যে একটি বালোচিস্তানের হিংলাজ আর অন্যটি করাচির করবীপুর৷ এটি সিন্ধ প্রদেশে পড়ে৷
পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশ৷ এই প্রদেশেই বেশি থাকেন দেশের সংখ্যালঘু ‘হিন্দু’ সম্প্রদায়৷ সিন্ধ প্রদেশ থেকেই পাক জাতীয় আইনসভায় সংখ্যালঘুদের জন্য প্রতিনিধি নির্বাচিত হন৷ সিন্ধের প্রাদেশিক রাজধানী করাচি৷ পাক বন্দর নগর তথা বাণিজ্যিক রাজধানী করাচির পারকাই ও সুক্কুর স্টেশনের কাছে করবীপুর৷ এখানেই দেবীর সতীপীঠ৷ কথিত আছে, এখানে সতীর তিনটি নয়ন পড়েছিল৷ দেবী এখানে মহিষমর্দিনী রূপে পূজিতা হন৷ শিব আছেন ক্রোধীশ নামে৷
পৌরাণিক কথা অনুসারে দক্ষ রাজের কন্যা সতী স্বামীর অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মাহুতি দেন। শোকাহত মহাদেব যজ্ঞ ভণ্ডুল করে স্ত্রীর মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে বিশ্বব্যাপী প্রলয় নৃত্য শুরু করেন।দেবতাদের অনুরোধে সেই প্রলয় থামাতে বিষ্ণু তাঁর সুদর্শন চক্র দিয়ে সতী দেবীর মৃতদেহ খন্ড খন্ড করে দেন। বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে দেবীর দেহাংশ৷ যে স্থানে দেহাংশগুলি পড়েছে পরবর্তী সময়ে সেই স্থান শক্তিপীঠ (৫১টি) হিসেবে পরিচিত হয়েছে৷ ভারত, নেপাল, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কায় আছে তেমনই সতীপীঠ৷
পাকিস্তানের দুটি স্থানে সতীর দেহাংশ পড়েছিল৷ এরমধ্যে একটি পড়েছে বিতর্কিত বালোচিস্তানে৷ অন্যটি বালোচ প্রদেশে লাগোয়া সিন্ধের করবীপুরে৷ তাই কালী এখানে করাচিওয়ালি৷ দর্শনার্থীরা বলেন জয় কালী করাচিওয়ালি…
সৌজন্যে কলকাতা২৪x৭.কম