আবার চিতার মৃত্যু কুনোয়। এই নিয়ে পাঁচ মাসের মধ্যে ন’টি চিতার মৃত্যু হল কুনো ন্যাশনাল পার্কে। আজ, ২ অগস্ট সকালে ‘ধাত্রী’ নামের মেয়ে-চিতাটির মৃ্ত্যু হল। বহু ঢক্কানিনাদের মধ্যে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর জন্মদিনে কুনোর জঙ্গলে ছাড়া হয়েছিল নামিবিয়া থেকে আনা একদল চিতা। উদ্দেশ্য ছিল, ভারতে চিতা ফিরিয়ে আনা। একসময়ে চিতা ছিল ভারতে। কিন্তু পরবর্তীতে বিলুপ্ত হয়ে যায়। কিন্তু ভারতীয় অরণ্যে চিতা ফেরানোর এই কেন্দ্রীয় সরকারি প্রচেষ্টা মুখ থুবড়ে পড়ায় রীতিমতো সমালোচনা বিভিন্ন মহলে। খোদ সুপ্রিম কোর্ট কুনোয় এই পর পর চিতার মৃত্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
ভারতীয় আবহাওয়ায় নামিবিয়া থেকে আনা চিতার বেঁচে থাকা কঠিনই। এই ভাবনা আগে থেকেই ছিল। তাই চিতাগুলিকে নজরদারির মধ্যেই রাখা হয়েছিল। কুনো ন্যাশনাল পার্কের পশুচিকিৎসকদল এবং নামিবিয়ার এক্সপার্ট টিম মিলিত ভাবেই চিতাগুলির হাল হকিকতের উপর নজর রেখেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সাফল্য আসেনি। ভারতীয় অরণ্যের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেনি কুনোর চিতা।
এদিকে পর পর এতগুলি চিতার মৃত্যুতে রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশের শীর্ষ আদালত। বিচারপতি বি আর গাভাই, জে বি পারদিওয়ালা ও পি কে মিশ্রের একটি বেঞ্চে এ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি হয়। একটি এক্সপার্ট কমিটির করা মামলার শুনানিতে এক্সপার্ট কমিটির তরফে বলা হয়, চিতাগুলিকে ঠিক ভাবে রাখার জন্য এমন কিছু পরিকল্পনার প্রয়োজন ছিল যা হয়তো সরকার সেভাবে পালন করতে পারেনি।
কেন্দ্রীয় তরফে অবশ্য সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, তাদের তরফে দায়িত্ব পালনে কোনও শৈথিল্য ঘটেনি। যদিও বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা হতে শুরু করে দিয়েছে। এবং বিরোধীরা হয়তো যে কোনও দিন বিষয়টি ইস্যু করতে পারে বলে এক শ্রেণির অনুমান। সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের অভিমত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ইমেজ বিল্ডিংয়ে এই চিতার ট্রান্সলোকেশন খুবই জরুরি জায়গা অধিকার করে রয়েছে। আগামী বছর ভোট। তার আগে চিতার মৃ্ত্যুতে সেই ইমেজ টোল খাবেই।