দ্য ওয়াল ব্যুরো : ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি আলোচনা হলে সীমান্তে উত্তেজনা কমত। কিন্তু পাকিস্তান আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদে মদত দেয়। সেজন্যই আলোচনায় বসা সম্ভব হচ্ছে না। গত মঙ্গলবার এমনই মতামত জানিয়েছে আমেরিকা। আমেরিকার বিদেশ দফতরের কার্যনির্বাহী সচিব অ্যালিস জি ওয়েলস এক রিপোর্টে বলেন, আমরা মনে করি, ১৯৭২ সালের চুক্তি অনুযায়ী ভারত ও পাকিস্তান যদি সরাসরি আলোচনায় বসে তাহলে উত্তেজনা কমতে পারে। কিন্তু পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদে মদত দেয়। আলোচনায় বসার পক্ষে প্রধান বাধা সেটাই।
এতদিন ভারত থেকে বার বার বলা হয়েছে, পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া বন্ধ না করলে তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসা সম্ভব নয়। এবার আমেরিকাও কার্যত সেই অবস্থানকেই স্বীকৃতি দিল।
অ্যালিসের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০০৬-০৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান গোপনে একটা বোঝাপড়ার চেষ্টা করেছিল। তাতে কাশ্মীর সহ অনেক বিষয়েই অগ্রগতি হয়। ইতিহাস প্রমাণ করেছে, আলোচনার মাধ্যমে বিরোধ মিটিয়ে নেওয়া সম্ভব। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নতুন করে আলোচনা শুরু হতেই পারে। কিন্তু পাকিস্তান যেভাবে সন্ত্রাসবাদে মদত দিয়ে চলেছে, তার ফলেই আলোচনায় বসা সম্ভব হচ্ছে না।
পাকিস্তানের প্রসঙ্গে রিপোর্টে বলা হয়েছে, সেদেশের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, যারা কাশ্মীরে হিংসা ছড়ায়, তারা কাশ্মীর ও পাকিস্তান, দু’দেশেরই শত্রু। আমরা এই বক্তব্যকে স্বাগত জানাই। এরপর সরাসরি ইসলামাবাদকে দোষারোপ করে বলা হয়েছে, তারা লস্কর ই তৈবা, জয়েশ ই মহম্মদের মতো সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীকে মদত দেয়। সেজন্যই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় শান্তি বিঘ্নিত হয়। এর দায়িত্ব পাকিস্তান সরকারকেই নিতে হবে।
রিপোর্টের শেষে মন্তব্য করা হয়েছে, আমরা মনে করি, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আলোচনা যদি সফল হতে হয়, আগে পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে হবে।
সৌজন্যে দ্য ওয়াল