মহরমের আগে ঢেকে দেওয়া হয় মন্দির, তোষণের নিকৃষ্টতম উদাহরণ দিয়েছেন মমতা, দাবি সুকান্তর

 মহরম ছিল তাই মালদার কালিয়া চকে দূর্গা মন্দিরের সামনে বাঁশের ব্যারিকেড করে রাখা হয়েছিল। হুগলির চাঁপদানিতে মন্দির সম্পূর্ণ ভাবে ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছিল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক জায়গাতে মন্দিরের সামনে ব্যারিকেড করা হয়েছে। এই ঘটনার কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর অভিযোগ, ইচ্ছে করে রাজ্যের হিন্দু মুসলমান সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দল। তাঁর কথায়, এটা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসলে তোষণের নিকৃষ্টতম উদাহরণ তৈরি করলেন।

মালদা, চাঁপদানি, দক্ষিণ ২৪ পরগণার মন্দির ঘিরে রাখা বা ঢেকে রাখার একাধিক ছবি সাংবাদিকদের দেখিয়ে সুকান্ত কটাক্ষ করে বলেন, এটা পশ্চিমবঙ্গের ছবি বাংলাদেশের নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দ্যেশ্যে তিনি প্রশ্ন তোলেন, কোনো মুসলিম সংগঠনের কাছ থেকে কি এরকম করতে বলার অনুরোধ করা হয়েছিল? তাঁর দাবি, তাদের কাছে খবর রয়েছে যে, কোনও মুসলিম সংগঠন এই ধরনের কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়দের বলেননি। তারা বলেননি যে হিন্দু মন্দিরকে এইভাবে ঢেকে দিতে।

সুকান্ত মজুমদার বলেন, মুসলিম ভাইরা বহুবছর বহু যুগ ধরে মহররম পালন করে আসছে। বহুদিন ধরেই তারা হিন্দু মন্দিরের সামনে দিয়ে তাজিয়া নিয়ে গেছে। কিন্তু কোথাও কোনওদিন কোনও অসুবিধা হয়নি। আজ কী এমন হয়ে গেল যে এভাবে ব্যারিকেড দিয়ে মন্দিরকে ঢেকে রাখা হলো?

তিনি অভিযোগের সুরে বলেন, কোনো মুসলিম সংগঠনের পক্ষ থেকে এই ধরনের কোনও দাবি সরকার পক্ষের কাছে না জানানো সত্বেও মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর দলবল পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু এবং মুসলিম এই দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরোধ বাধে এবং এই দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে যাতে বিভাজন করা যায়, সেই কারণেই মুখ্যমন্ত্রী ও তার দল এই পরিকল্পনা করেছিল।

সুকান্ত জানান, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারে এই ঘটনা সব থেকে বেশি ঘটেছে, এই ডায়মন্ড হারবারই তৃণমূল কংগ্রেসের এক নম্বর সাংসদের এলাকা।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “এটা দুঃখের বিষয় যে সংখ্যা গরিষ্ঠ হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির মুখ্যমন্ত্রী এভাবে ঢেকে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এটা তো তোষণের নিকৃষ্টতম উদাহরণ। কোনও শিক্ষিত শান্তিপ্রিয় মুসলিম এই ঘটনাকে সমর্থন করবেন না বলেই আমার বিশ্বাস। মুখ্যমন্ত্রীর নিজে বাংলায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে নষ্ট করার চেষ্টা করছেন। তোষণের নিকৃষ্টতম উদাহরণ দিচ্ছেন।”

মহররমের তাজিয়া যাওয়া নিয়ে কখনো কোনো সমস্যা হয়নি। সুকান্ত দাবি করেন, এটা হিন্দু মুসলিমের মধ্যে বিরোধ বাধানোর রাজনৈতিক এজেন্ডা। মুখ্যমন্ত্রী উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে সবটা করছেন। তিনি যে নিকৃষ্টতম তোষণের উদাহরণ তৈরি করছেন তার তীব্র প্রতিবাদ জানান বিজেপি নেতা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.