বহুবার বলা হলেও রাস্তা সংস্কারের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি
পুরসভা ও স্থানীয় কাউন্সিলর। বাধ্য হয়ে বেহাল রাস্তার সংস্কারের কাজে নিজেরাই হাত লাগালো এলাকার বাসিন্দারা। এমনই ঘটনা ঘটেছে জলপাইগুড়ি পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোষ পাড়া এলাকায়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত পুরসভা ভোটের আগে তৃণমূল প্রার্থী কথা দিয়েছিলেন জয়ী হলে এক বছরের মধ্যে রাস্তা সংস্কার হয়ে যাবে। কিন্তু এক বছর পার হয়ে যাওয়ার পরেও রাস্তা যেমন ছিল আরও ভেঙ্গে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পুরসভা এবং কাউন্সিলরের ওপরে ভরসা না করে নিজেরাই চাঁদা তুলে বেহাল রাস্তা সংস্কারের কাজে হাত লাগালেন।
জলপাইগুড়ি পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোষ পাড়া এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, তাদের ওয়ার্ডের অধিকাংশ রাস্তা বেহাল। স্থানীয় বাসিন্দা প্রদীপ ঘোষের মুদিখানা দোকান থেকে দেশবন্ধু নগর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তা আর রাস্তা নেই। ওই রাস্তায় ৩৫ -৪০ পরিবারের যাতায়াত। বেহাল রাস্তা নিয়ে গত পুরসভা ভোট বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পাড়ার ছেলে সন্দীপ ঘোষ ভোটে দাঁড়ানোর পর সে রাস্তা সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তারপরেই ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত বাতিল করেন বাসিন্দারা। কিন্তু রাস্তা সংস্কার হয়নি এখনও।
স্থানীয় বাসিন্দা ডলি মণ্ডল বলেন, “দীর্ঘদিন থেকে রাস্তা বেহাল। অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তৃণমূলের কাউন্সিলর কিন্তু রাস্তা এখনও হয়নি। এখন আমরা চাঁদা তুলে রাস্তা সংস্কার করলাম।” এদিকে আরও এক বাসিন্দা মঞ্জু বিশ্বাস বলেন, “পরিষেবা বলে কিছুই নেই। আজ গ্রামবাসীরা নিজেরাই চাঁদা তুলে রাস্তা সংস্কার করলো।”
এদিকে পুরসভার দাবি, রাস্তা সংস্কারের টেন্ডার হয়ে গিয়েছে। পুজোর আগেই হবে।
এদিকে স্থানীয় কাউন্সিলের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, তিনি বাইরে আছে। ওয়ার্ডের একাধিক রাস্তার ট্রেন্ডার হয়ে আছে কাজ শুরু হবে।