উপাচার্য বা অস্থায়ী উপাচার্য না থাকায় পশ্চিমবঙ্গের একগুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয়ে দুশ্চিন্তা। এর মধ্যেই সোম ও বুধবার শিক্ষাবিদদের দুটি শিবির পৃথক বৈঠক ডাকল। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগে সন্ধান কমিটির বিষয়টি নিয়ে সোমবার শুনানি হবে কলকাতা হাইকোর্টে।
দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে
উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে অশান্তি চলছে। বর্তমানে অশান্তির কারণ, প্রতিষ্ঠানে নিয়ন্ত্রণ রাখতে আচার্য- রাজ্যপাল ও শিক্ষা দফতর দু’ পক্ষই চাইছে নিজেদের মত উপাচার্য নিয়োগ। একের পর এক মামলা হচ্ছে। ফলে জটিলতা দেখা দিয়েছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে।
কিছুকাল আগে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে বৈঠক করেছিলেন রাজ্যপাল। সেই সময় উপাচার্যদের একাংশের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছিল রাজ্যের পক্ষ থেকে বৈঠকে যোগ না দিতে বলা হচ্ছে। বর্তমানে রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি থেকে শুরু করে অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল। যা নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে সংঘাত চরমে। এর মধ্যেই সোমবার মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসেই হবে তার বৈঠক।
অন্যদিকে বুধবার দুপুরে ইউনিভার্সিটি ইনসটিটিউট হলে বৈঠক ও ‘জাতীয় আলোচনাচক্র’ ডেকেছেন আচার্য-বিরোধী গোষ্ঠী। ‘দি এডুকেশনিস্টস ফোরাম’ নামে এই গোষ্ঠীর সেদিনের আলোচনার বিষয় ‘ভারতের উচ্চশিক্ষা, সমস্যা ও জটিলতা’। এতে বিশিষ্ট অংশগ্রহণকারীদের নামের তালিকায় রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, যোগেন্দ্র পাদব, কবি সুবোধ সরকার, অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকার প্রমুখ। ওই অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে যাঁদের নাম লেখা হয়েছে সকলেই তথাকথিত আচার্য বিরোধী শিবিরের শিক্ষাবিদ। এঁরা উপাচার্য নিয়োগে আচার্যের পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রীকে চাইছেন।
সংক্ষেপে, উপাচার্য নিয়োগের দায়িত্ব আচার্য যেমন নিজের হাতে রাখতে চাইছেন, রাজ্যও তেমনই চাইছে না আচার্য বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করুক। কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য থাকলেও এই টানাপড়েনে প্রায় সব কটি বিশ্ববিদ্যালয়েই দেখা দিয়েছে নানা সমস্যা। যা ক্রমে বেড়েই চলেছে। এতে রীতিমত চিন্তিত শিক্ষাবিদদের একটা বড় অংশ।