বিজেপির জাতীয় স্তরে দিলীপ ঘোষ পদবিহীন হতেই তাকে নিয়ে রাজনৈতিক চর্চা তুঙ্গে উঠেছে। কেন জাতীয় স্তরের পদ থেকে তাকে সরিয়ে দিল বিজেপি? আগামীতে কী কোনো পরিকল্পনা রয়েছে তাকে নিয়ে? সে প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে ঘুরছে। কিন্তু এই বিষয়ে কোনো রকম বিতর্ক নেই বলেই মনে করেছেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর ব্যাখা আগামী দিনে বাংলায় বিজেপির সংগঠন শক্তিশালী করার কাজে দিলীপ ঘোষকে ব্যবহার করা হবে।
সুকান্ত মজুমদার বলেন, “দিলীপ দা’র মতো একজন প্রবীণ এবং অনুগত নেতাকে লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে রাজ্য ইউনিটকে শক্তিশালী করার কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে।
শনিবার বিজেপি সাংগঠনিক রদবদলের কথা ঘোষণা করতেই দেখা যায়, নয়া কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন দিলীপ ঘোষ। এর আগে তিনি বঙ্গ বিজেপির সভাপতি ছিলেন। তাকে সরিয়ে সুকান্ত মজুমদারকে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর দায়িত্বে আনা হয়। সেই সময় তাকে বিজেপির জাতীয় সহ-সভাপতি পদের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু শনিবার সেখানেও রদবদল হয়। এবার সেখানে তাকে আর পদে রাখা হয়নি।
নানা সময়ে নানা বিতর্কিত মন্তব্যে করে দিলীপ ঘোষ খবরের শিরোনাম উঠে এসেছেন। ফলে শনিবার তিনি পথ বিহীন হয়ে যাওয়াতেও জল্পনা শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি গুরুত্বহীন হয়ে গেলেন দিলীপ ঘোষ? নাকি তাকে ফেরানো হবে বাংলার সংগঠনে? নাকি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করা হবে? সে ক্ষেত্রে সুকান্ত মজুমদারের স্পষ্ট বক্তব্য, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে সংগঠনের কাজে দিলীপ ঘোষকে আরো বেশি করে ব্যবহার করা হবে। সুকান্ত মজুমদার আরও জানিয়েছেন, “এই ধরনের সিদ্ধান্ত দলের স্বার্থে সাধারণত শীর্ষ নেতৃত্ব নিয়ে থাকেন।”
তবে কোনো কোনো মহলে শোনা যাচ্ছে, বাংলা থেকে দিলীপ ঘোষকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করা হতে পারে। তাই তাকে জাতীয় স্তরের পদ থেকে সরানো হয়েছে। কারণ বিজেপিতে এক ব্যক্তি একপদ নীতি অনুসরণ করা হয়।
যদিও সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, এ বিষয়ে তার কাছে কোনো খবর নেই। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, তাদের কাছে এমন কোনো তথ্য নেই। দলের জাতীয় নেতৃত্ব রাজ্য কমিটির সঙ্গে এই জাতীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করে না।
এদিনের রদ বদলে দিলীপ ঘোষের পদ গেলেও জাতীয় সম্পাদক পদে রেখে দেওয়া হয়েছে অনুপম হাজরাকে। অনুপম তৃণমূলের টিকিটে জেতা বোলপুরের সাংসদ ছিলেন। ২০১৯- এ লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দেন। কিন্তু ২০১৯-এ যাদবপুর থেকে ভোটে লড়লেও হেরে গিয়েছিলেন অনুপম।