ছুটিতে বাড়িতে এসে অপহৃত হলেন ভারতীয় সেনার এক জওয়ান। জম্মু-কাশ্মীরের কুলগাম জেলায় তাঁর বাড়ি। প্রাথমিক ভাবে সেনা এবং পুলিশ মনে করছে, জওয়ানকে অপহরণ করা হয়েছে। তবে জঙ্গিদের হাতে অপহরণ হয়েছেন কি না, সে বিষয়টি স্পষ্ট নয়।
সেনা সূত্রে খবর, কয়েক দিন আগেই বাড়ি ফিরেছিলেন জওয়ান জাভেদ আহমেদ ওয়ানি। তিনি লাদাখের লেহতে কর্মরত ছিলেন। শনিবার রাত ৮টা থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন জাভেদ। পরিবার সূত্রে খবর, কিছু জিনিস কেনার জন্য গাড়ি নিয়ে চোয়ালগামে গিয়েছিলেন জাভেদ। বাড়ি থেকে অল্প সময়ের পথ চোয়ালগাম। রাত হয়ে যাওয়ায় জাভেদ না ফেরায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা।
এর পরই জাভেদের পরিবার এবং স্থানীয়রা আশপাশের গ্রামগুলিতে খোঁজখবর নেন। কিন্তু সেখানেও তাঁকে দেখা যায়নি বলে জানতে পারেন পরিবারের সদস্যরা। জাভেদকে খোঁজাখুঁজি করার সময় পারানহাল নামে একটি গ্রামে তাঁর গাড়ি এবং জুতো উদ্ধার হয়। পরিবারের দাবি, গাড়িতে রক্তের দাগ লেগে ছিল। দরজা খোলা ছিল গাড়ির। এর পরই জাভেদের পরিবার বিষয়টি পুলিশ এবং সেনাকে জানায়। জাভেদের খোঁজে যৌথ ভাবে তল্লাশি চালাচ্ছে সেনা এবং পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে তারা মনে করছে, জাভেদকে অপহরণ করা হয়েছে। জাভেদের খোঁজ না মেলায় ভেঙে পড়েছে তাঁর পরিবার।
এই প্রথম নয়, ২০২০ সালে একই রকম ঘটনা ঘটেছিল এই কুলগামেই। ইদের সময় ছুটিতে বাড়িতে এসে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন ১৬২ ব্যাটেলিয়নের রাইফেলম্যান শাকির মনজুর। নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পাঁচ দিন পর তাঁর রক্তমাখা পোশাক উদ্ধার হয় বাড়ির কাছ থেকে। পরে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। বদগাম জেলা থেকেও এক সোনা নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন গত বছরের মার্চে। সমীর আহমেদ মল্লা নামে ওই জওয়ান জম্মু-কাশ্মীরের লাইট ইনফ্যান্ট্রিতে কর্মরত ছিলেন। এর আগে ২০১৭ সালে এক সেনা আধিকারিককে সোপিয়ানে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছিল জঙ্গিরা। লেফটেন্যান্ট পদের ওই সেনা আধিকারিক উমর ফৈয়াজের গুলিবিদ্ধ দেহ পর দিন উদ্ধার হয়।