নদিয়ার শান্তিপুর ব্লকের বাবলা পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ডিঙ্গিপোতা এলাকার বাসিন্দা পেশায় গৃহশিক্ষক ও নেশায় সংস্কৃতিপ্রবণ এক কবি আক্রান্ত হয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দ্বারা। এমনই অভিযোগ আক্রান্ত কবি কল্লোল সরকারের।
তিনি বলেন, গত ২৫ জুলাই সন্ধ্যের একটু আগে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন, পথেই তার এলাকার প্রসেন ঘোষ এবং মিঠুন সরকার নামে দুই তৃণমূল কর্মী এবং তার সাথে অচেনা বেশ কিছু তৃণমূল কর্মী তার উপর চড়াও হয়। শাসানো হয় বড় বাড় বেড়েছিস, শাসকের বিরুদ্ধে কবিতা লেখা বন্ধ করতে হবে। তাকে ব্যাপক মারধরের পর ওই এলাকার এক টোটো চালক তাকে উদ্ধার করে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করানোর ব্যবস্থা করেন। গতকাল তিনি শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
যদিও তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, তিনি রাজ্য সরকার বা তৃণমূল দলের নামে কিছুই লেখেননি। তবে বর্তমান পরিস্থিতির ভয়াবহতা তুলে ধরেন বিভিন্ন সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে। এটা কবিতার স্বাধীনতা, যেটা থাকা উচিত।
এ প্রসঙ্গে অবশ্য অভিযুক্ত মিঠুন সরকার, প্রসেন ঘোষরা তার কবিত্ব প্রসঙ্গে কিছুই জানেন না, এমনকি কবিতা সংক্রান্ত কোনো অশান্তি নয়, বিষয়টিকে ব্যক্তিগত স্তরের একটি সাধারণ ঝগড়া বলেই জানান তারা।
যদিও এ বিষয়টি বিজেপির শিক্ষক এবং অধ্যাপক মহল নিন্দার চোখে দেখে তার পাশে দাঁড়াচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বিজেপি নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক অধ্যাপক সোমনাথ কর। তিনি বলেন, দুর্নীতি, কাটমানি যাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে তারা কবিতার কি বুঝবে? সামাজিক যে কোনো প্রেক্ষাপট তুলে ধরার নৈতিক অধিকার আছে লেখক, অভিনেতা, শিল্পী, সাংবাদিক এমনকি সাধারণ মানুষের। তবে তার দল বিজেপির বিরুদ্ধেও কি না, সে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন “অবশ্যই”। ভারতীয় জনতা পার্টি মানুষের রায়কে সম্মান করতে জানে। যদিও ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এখনো পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। তবে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে শান্তিপুর থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছে।