শীর্ষ আদালতের নির্দেশে ভারতীয় সেনায় ‘পার্মানেন্ট কমিশন’ পাওয়ার অধিবার তাঁরা পেয়েছেন তিন বছর আগেই। পেয়েছেন সেনায় ‘কমান্ডিং অফিসার’ পদ পাওয়ার অধিকারও। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেনার কমান্ডো ইউনিট ‘প্যারা এসএফ (স্পেশাল ফোর্স)’-এ যোগদানের সুযোগ পাননি কোনও নারী সেনা। যা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন।
লোকসভায় প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী অজয় ভট্ট এমনই এক প্রশ্নের উত্তরে শুক্রবার জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে সেনার প্যারা এসএফ বাহিনীতে মহিলাদের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টিতে কোনও লিঙ্গবৈষম্য করা হয় না। তিনি বলেন, ‘‘স্পেশাল ফোর্সে যোগদানের ক্ষেত্রে কোনও লিঙ্গবৈষম্য না করে যোগ্যতাকেই একমাত্র মাপকাঠি করা হয়েছে সেনার বিধিতে।’’ সেই সঙ্গে জানিয়েছেন, মূলত শত্রুপক্ষের জমিতে সেনার বিশেষ ঝটিকা অভিযানের জন্য এই কমান্ডো বাহিনীকে ব্যবহার করা হয়। অতীতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি শিবিরে সেনার ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে’ ব্যবহার করা হয়েছিল এই স্পেশাল ফোর্সকে।
হিমালয় ঘেরা তুষারক্ষেত্র, মরুভূমি, ঘন জঙ্গল-সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক পরিবেশে অভিযান চালানোর জন্য রয়েছে প্যারা এসএফ-এর বিশেষ প্রশিক্ষত পৃথক পৃথক ইউনিট। লোকসভায় অজয় জানিয়েছেন, সেনার এই ‘এলিট’ বাহিনীতে যোগ দেওয়ার জন্য দীর্ঘ শারীরিক এবং মানসিক প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। বর্তমান ব্যবস্থায় মহিলা সেনারা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে স্বল্পমেয়াদে স্পেশাল ফোর্সে যোগ দিতে পারেন। কিন্তু তাঁদেরও সেই শারীরিক এবং মানসিক সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ নিতে হয়।
প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, অতীতে ভারতীয় বায়ুসেনার দুই মহিলা অফিসার স্বেচ্ছায় স্পেশাল ফোর্সের প্রশিক্ষণে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা উত্তীর্ণ হতে পারেননি। সম্প্রতি ২০ জন মহিলা অগ্নিবীর স্পেশাল ফোর্সে যোগদানের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা প্রশিক্ষণে যোগ দেওয়ার যোগ্যতামান পেরোতে ব্যর্থ হয়েছেন।