বড়সড় বৃষ্টির ঘাটতির মুখে দাঁড়িয়ে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গ। নির্ধারিত সময় ১১ জুনের বদলে এমনিতেই এবার দক্ষিণবঙ্গে মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করেছিল ৮ দিন পরে ১৯ জুন।
জুলাই মাসের ২৫ তারিখ, অর্থাৎ বর্ষার প্রথম ৩৬ দিনের মাথায় বৃষ্টির ঘাটতি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে দক্ষিণবঙ্গে। বিগত ৩৫ দিনে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি ৩৮ শতাংশ। কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলি জেলায় বৃষ্টির ঘাটতি ৫০ শতাংশ। অর্থাৎ যা বৃষ্টি হওয়া উচিৎ ছিল তার অর্ধেক বৃষ্টি পেয়েছে এই ৪ জেলা।
পূর্বাভাস
ভারী বৃষ্টি উধাও। মঙ্গল, বুধ বৃষ্টি আরও কমবে রাজ্যে। বাড়বে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। তাপমাত্রার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নেই বলেই জানা গিয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আজ ও কাল বিক্ষিপ্তভাবে দু’এক পশলা হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ২৭ জুলাই বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টি সামান্য বাড়তে পারে। তাতেও ৩৮ শতাংশ ঘাটতি এই মুহুর্তে মেটার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।
আজ থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে উত্তরবঙ্গেও। বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টি বাড়তে পারে উত্তরবঙ্গের উপরের ৫ জেলায়। বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে এই জেলাগুলিতে।
দক্ষিণবঙ্গ
ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে পশ্চিম, মধ্য ও উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায়। নতুন করে একটি নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে বঙ্গোপসাগরে। আজ বিকেলের দিকে এই নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মৌসুমী অক্ষরেখা আপাতত অনেকটা দক্ষিণে সরে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে আবার দক্ষিণবঙ্গের কাছাকাছি অবস্থান করবে। ফলে বৃষ্টি কিছুটা বাড়ার পূর্বাভাস রয়েছে।
কলকাতা
কলকাতায় আজ খুব হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে। আপাতত ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। ফলে আগামি ৭ দিনে কলকাতায় ৫০ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি মেটার কোনও আশা নেই। বৃহস্পতিবার বা তারপরে বৃষ্টি কিছুটা বাড়তে পারে। তাতেও ঘাটতি মেটা সম্ভব নয়।
পরিসংখ্যান
দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বেশি। কাল দিনের তাপমাত্রা ৩৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কাল রাতের তাপমাত্রা ছিল ২৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয় বাস্পের পরিমাণ ৬৬ থেকে ৯২ শতাংশ। আলিপুরে গত ২৪ ঘন্টায় ৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।