মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ উৎসবের মরশুমে দীপাবলি আর কমলেশ তিওরারী মার্ডার কেস এর পর পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে শনিবার রাতে নিজের আবাসে সুরক্ষা এবং অন্য ব্যাবস্থা সুনিশ্চিত করার জন্য সমস্ত আধিকারিকদের নির্দেশ জারি করেন। উনি আধিকারিকদের অ্যালার্ট করে বলেন, নেপালে মুসলিম মুক্তি মোর্চার গতিবিধি সন্দেহজনক। তাই পুলিশকে সামঞ্জস্য বজায় রেখে কাজ করতে হবে।
বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, সীমান্ত এলাকা গুলোতে বরাবর নজরদারি চালাতে হবে। উনি বলেন, নেপালে মুসলিম মুক্তি মোর্চার গতিবিধি সন্দেহজনক, আর এর জন্য বর্ডার সংলগ্ন এলাকার সমস্ত জনপদ গুলোতে বিশেষ নজর রাখা হয়। এসএসবি এর সাথে সামাঞ্জস্য বজায় রাখার নির্দেশ দেন যোগী আদিত্যনাথ। সমাজ বিরোধীদের ষড়যন্ত্র ব্যার্থ করতে নেপালের সীমাবর্তি এলাকা গুলোতে নেপালের প্রশাসনের থেকে তথ্য সংগ্রহ করার নির্দেশ দেন যোগী আদিত্যনাথ। বিহার, ছত্তিসগড় মধ্য প্রদেশ, রাজস্থান আর দিল্লী বর্ডার এলাকার আধিকারিকদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বৈঠকে বলেন, ১৯৯০ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত থাকা অথবা এই কার্যকলাপে অভিযুক্ত ব্যাক্তিদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট চেক করুন, যদি তাঁরা জেলের বাইরে থাকে, তাঁদের তৎকাল গ্রেফতার করে আবার জেলে পাঠান। উনি বলেন, উপদ্রবি মানসিকতার মানুষ গুলোর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেন নিতে। পুলিশ আধিকারিক থানায় বসবেন না, আপনারা অপরাধীদের বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নিন, তাঁদের মনে আতঙ্ক ধরিয়ে দিন।
কমলেশ তিওয়ারী হত্যাকাণ্ডের পর যেমন ভাবে ষড়যন্ত্র সামনে আসছে, এরপর উত্তর প্রদেশ পুলিশ আরও সতর্ক হয়ে গেছে। যদিও এই ঘটনায় পুলিশ কোন প্রকারের জঙ্গি গতিবিধি থাকার কথাকে অস্বীকার করেছে। কিন্তু কোন স্তরে ঢিল দেওয়া হবেনা। আর এই জন্য মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ প্রতিবেশী দেশ নেপালকে নিয়ে সতর্কতা জারি করেছেন।