রাজ্যপালের নিরাপত্তা প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন রাজ্য বিজেপির নেতা মুকুল রায়। নদিয়ার একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে মুকুল রায় বলেন, মমতার শাসনে রাজ্যে কোনও মানুষেরই নিরাপত্তা নেই। এমনকী রাজ্যপালেরও নয়।
রবিবার মুকুল ওই আনুষ্ঠানে গিয়ে বলেন, রাজ্যে নিরাপত্তার এমনই হাল-হকিকত্ রাজ্যপালকে পর্যন্ত কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দিতে হচ্ছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যে ৮৯ জন বিজেপি নেতা-কর্মী খুন হয়েছেন। লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে খুন হয়েছে ৩৫ জন। বাংলায় তাই প্রশ্ন উঠেছে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে।
মুকুলের কথায়, বাংলায় প্রতি কোণে কোণে এখন প্রশ্ন উঠছে, রাজ্যে আদৌ গণতন্ত্র থাকবে না। তাঁর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটা সময় বলেছিলেন রাজ্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য পরিবর্তন দরকার। তারপর পরিবর্তন এসেছিল, কিন্তু গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়নি। তাই আমরা প্রকৃত পরিবর্তনের ডাক দিয়েছি। এবার পরিবর্তনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবেই।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই খুন হচ্ছে গণতন্ত্র। তাই রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান রাজ্যপালকে নিরাপত্তা দিতে হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। এটা গণতন্ত্রের পক্ষে বড় বিপদ। কেন্দ্রীয় সরকার এখন মনে করছে, রাজ্যপালে নিরাপত্তার ভার রাজ্য সরকারের হাতে দেওয়া উচিত নয়। রাজ্য সরকারের হাতে থাকা নিরাপদ নয়।
রাজ্যপালের নিরাপত্তা নিয়ে বৃহস্পতিবার কটাক্ষ করেছিলেন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়৷ তিনি বলেছিলেন, রাজ্যকে ‘ওভারটেক’ করে রাজ্যপাল কেন্দ্রের দ্বারস্থ হয়েছেন। গত ৫০ বছরে আর কোনও রাজ্যপালকে নিরাপত্তার অভাবে ভুগছেন বলে বলতে শোনেননি৷
এরপর সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে নিশানা করে রাজ্যপাল বলেন, ‘‘নিরাপত্তা ইস্যুতে কিছু বলব না। তবে রাজ্যের এক শীর্ষ মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় যে মন্তব্য করেছেন সংবাদমাধ্যমে, তা একজন মন্ত্রী হিসেবে ঠিক করেননি। আগে তথ্য যাচাই করে কথা বলুন। আমি যখন কোনও বিষয়ে মন্তব্য করি, সে বিষয়ে জেনেবুঝেই মুখ খুলি’’। এ প্রসঙ্গে রাজ্যপাল বলেন, ‘‘অনেকেই যা খুশি মন্তব্য করছেন, তাঁদের হাতজোড় করে বলছি, আগে সবটা জেনে তবেই মন্তব্য করুন’’।