তৃণমূলের ভেঙে যাওয়া শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। শনিবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই দাবি করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, তৃণমূলের ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়া ও তৃণমূল কংগ্রেসের ভেঙে যাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা।
আজ সাংবাদিক বৈঠকে অধীর চৌধুরীর মন্তব্য নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সুকান্তবাবু বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস বিপদে পড়েছে একথা ঠিক। তবে কংগ্রেস তাদের বাঁচাতে পারবে না। স্বয়ং নারায়ণ ঠাকুরও তৃণমূলকে বাঁচাতে পারবে না। তৃণমূলের ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়া বা তৃণমূল কংগ্রেস ভেঙে যাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা।”
অধীর চৌধুরী বলেছেন, ২০১১ সালে রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় এসেছিলেন কংগ্রেসের ঘাড়ে ভর করে। কিন্তু এখন তার প্রতি রাজ্যবাসীর মোহমুক্তি ঘটে গেছে। তাই এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনে হয়েছে কংগ্রেসের হাত ধরতে হবে। অধীর চৌধুরী দাবি করেন, ভারত জোড়ো কর্মসূচি গোটা দেশকে ঐক্যবদ্ধ করেছে। রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে সারা দেশে পরিবর্তনের ইঙ্গিত স্পষ্ট। তাই সেই ভাবনার সঙ্গে যোগ না দিলে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে সেটা বুঝতে পেরেই বিরোধী জোটে যোগ দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতার মতে কংগ্রেসের যতটা না তৃণমূলকে দরকার তার চেয়ে অনেক বেশি তৃণমূলের কংগ্রেসকে দরকার।