জোকা থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত মেট্রোর লাইন তৈরি করার কাজ চলছে। সেই কাজের জন্য ময়দানের পাঁচটি ক্লাবকে নিজেদের জায়গা থেকে আগামী চার-পাঁচ বছরের জন্য সরতে হবে। অস্থায়ী ভাবে এই সময়ের মধ্যে অন্য কোনও জায়গায় ক্লাবগুলিকে সরানো হবে। এই পুরো খরচ দেওয়া হবে মেট্রো রেলের পক্ষ থেকেই।
কলকাতা পুলিশ ক্লাব, কলকাতা কেনেল ক্লাব, রাজস্থান ক্লাব, খিদিরপুর স্পোর্টিং ক্লাব এবং কালীঘাট ক্লাবকে সরানো হবে। আগামী এক মাসের মধ্যেই ক্লাবগুলিকে স্থানান্তর করা হবে। রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের (আরভিএনএল) আধিকারিকেরা গত বছর নবান্নকে জানায় যে ক্লাবগুলিকে সরানোর প্রয়োজনীয়তার কথা। রাজস্থান ক্লাবের কর্তা অভিষেক ডালমিয়া। সিএবি-র প্রাক্তন সভাপতি অভিষেক আনন্দবাজার অনলাইনকে বললেন, “মেট্রোর এই কাজের জন্য চার-পাঁচ বছর লাগবে। খুব তাড়াতাড়ি অন্য জায়গায় ক্লাব সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। যদিও এখনও জানি না কোথায় সরানো হবে। সেই জায়গা দেখার পর বুঝতে পারব যে, কোনও রকম অসুবিধা হবে কি না। তবে সরানো এবং ফিরিয়ে আনার খরচ রেলকে দিতে হবে।” কলকাতা পুলিশ ক্লাবের সচিব মহাদেব চক্রবর্তী যদিও জানেন না খরচ কে দেবে। তিনি বললেন, “অস্থায়ী ভাবে সরানো হচ্ছে। মেট্রোর কাজের সুবিধার জন্য আমরাও চাই দ্রুত সেই কাজ হোক। কিন্তু খরচ রেলকে দিতে হবে। আমরা সেই বিষয়ে চিঠি দেব। ক্লাব সরানো এবং আবার ফিরিয়ে আনার খরচ যাতে রেলের তরফে দেওয়া হয়। আমরা এখনও জানি না কোন জায়গায় সরানো হবে।”
ময়াদানের এই পাঁচটি ক্লাবকে অস্থায়ী ভাবে সরানো হলেও কলকাতা মাউন্টেড পুলিশ প্যাডক এবং রাইডিং স্কুলকে পাকাপাকি ভাবে স্থানান্তর করা হবে। তাদের কোথায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে সেটা এখনও ঠিক হয়নি। মেট্রো রেলের পক্ষ থেকে শুক্রবার বলা হয়েছে যে, ক্লাবগুলি সরে যেতে রাজি। মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বললেন, “ক্লাবগুলোকে অস্থায়ী ভাবে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কাজ শেষ হলে আবার একই জায়গায় ফিরিয়ে আনা হবে। এর পুরো খরচ মেট্রোর পক্ষ থেকেই দেওয়া হবে। ক্লাবগুলোর তো কোনও দোষ নেই। মেট্রো নিজেদের সুবিধার জন্য ক্লাবগুলোকে সরাচ্ছে। মেট্রোর পক্ষ থেকেই ক্লাবগুলির অস্থায়ী জায়গা দেখে দেওয়া হবে।”