লেকটাউনের পর রাজারহাটের নারায়ণপুর। পাঁচ দিনের ব্যবধানে শহর কলকাতার বুকে ফের শুট আউট! একেবারে বলিউডের অন্ধকার জগতের সিনেমার কায়দায় ভরসন্ধেয় নিউটাউনের নারায়ণপুরে ফায়ার ব্রিগেড মোড়ে চলল গুলি। ১৩ রাউন্ড গুলিতে ঝাঁজরা প্যারোলে মুক্তি পাওয়া আসামি। জানা গিয়েছে প্যারোলে মুক্তি পাওয়া যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি দেবজ্যোতি ঘোষ। শোনা যাচ্ছে দুষ্কৃতীরা চারচাকা গাড়িতে বসে থাকা দেবজ্যোতির গাড়ির ভিতর বন্দুক ঢুকিয়ে একেবারে সামনে থেকে তাঁর শরীর লক্ষ্য করে এলোপাথারি গুলি চালায়। দুষ্কৃতীদের গুলিতে একেবারে ঝাঁজরা হয়ে যাওয়া দেবজ্যোতির বাড়িতে স্ত্রী ও একটি চারদিনের বাচ্চা আছে।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিস। একাধিক বাইকে করে এসে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। সেই সময় অন্য একটি গাড়িতে ছিলেন দেবজ্যোতি। তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। ১৩ রাউন্ড গুলির আঘাত নিয়ে তাঁকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে। জানা গিয়েছে, দেবজ্যোতি ঘোষ প্যারলে মুক্ত। নিয়মিত তাঁকে নারায়ণপুর থানায় হাজিরা দিতে হতে। সেইজন্যই এদিন রাজারহাটের নারায়ণপুর থানায় গিয়েছিলেন তিনি।
নিহত দেবজ্যোতি ঘোষ যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। প্যারোলে মুক্তি পেয়েছিল সে। নিয়মমতো প্রতিদিন তাকে নারায়ণপুর থানায় হাজিরা দিতে হত। এদিন সন্ধেয় নারায়ণপুর থানায় হাজিরা দিয়ে বাড়ি ফিরছিল সে। যদিও পরিবারের দাবি, সে ওষুধ কিনে বাড়ি ফিরছিল। সেই সময় নারায়ণপুরের দমকলের সামনে একাধিক বাইকে চড়ে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দেবজ্যোতি ঘোষকে লক্ষ্য করে ১৩ রাউন্ড গুলি চালায় তারা।
গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে দেবজ্যোতি। উদ্ধার করে গুলিবিদ্ধ দেবজ্যোতিকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কে বা কারা গুলি চালাল, তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। ঘটনার তদন্তে নেমেছে নারায়ণপুর থানার পুলিস।