Dilip Ghosh: ‘ওরা লাশের বিভাজন করছেন, মারো আর ২ লাখ টাকা দিয়ে দাও’, বিস্ফোরক দিলীপ

অন্যান্য দিনের মতোই বুধবার সকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে দেখা করে রাজ্যের বিভিন্ন বিষয়ে নিজের ক্ষোভ উগড়ে দেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

বিজেপির মহামিছিলে আজ পুলিসের অনুমতি নেই

তিনি জানিয়েছেন, ‘পুলিস তার অভ্যাস বজায় রেখেছে এবং পারমিশন দেয়নি। অশান্তির বিরুদ্ধে মিছিল। পুলিস নিজেই অশান্তি করছে। আমরা আমাদের কর্মসূচি বহাল রাখব। যারা হায় গনতন্ত্র বলে সাড়া দেশ ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তাদের রাজ্যে গণতন্ত্র মাটি চাপা পড়ে গিয়েছে। কোর্টে যেতে হয় গণতন্ত্র খুঁজতে। চশমার দোষ আছে’।

মমতাই আগামী দিনের প্রধানমন্ত্রীএবার দেশে এন ডি এ বনাম ইন্ডিয়া। ইন্ডিয়া নামও মমতার দেওয়া

দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘গতবারের অর্থাৎ ২০১৯-এর ফলটা একবার দেখে নিন। মোদী হঠাও দেশ বাঁচাও শ্লোগান দিয়ে ওদের ১২টা আসন কমে গেছে। কিছু লোক আছে, যারা হাওয়া দিয়ে চলে। কে কত বেশি তাবেদারি করবে। অন্যান্য পার্টি, যাদের ডাইরেক্ট মোদীজিকে ফেস করার ধক নেই, তারা মমতা ব্যানার্জিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছেন। কারন উনি একটুতেই হাওয়া খেয়ে যান। তাই কখনও কেজরিওয়াল, কখনও নীতিশ কুমার হাওয়া দিচ্ছেন। জানিনা, ন্যাড়া ক’বার বেলতলা যায়। ভারত মাতা কি জয় দিয়ে আমরা শুরু করেছি। আর ওরা দাসত্বের ইন্ডিয়ার কথা বলছে। ভারত ও ইন্ডিয়ার লড়াই চলছে। ভারত বিশ্বে নতুন করে জেগে উঠছে। দুনিয়ায় ভারতের সম্মান বাড়ছে। যারা ইন্ডিয়া নিয়ে চলছেন, তাদের বিসর্জন হবে’।

কোনও ভাবেই ভাঙড়কে শান্ত করা যাচ্ছে না। কালও গুলি চলেছে। প্রায় প্রতিটি অভিযোগ নওশাদের বিরুদ্ধে

তিনি বলেন, ‘ওখানে মানুষ যাকে জিতিয়েছে, তাকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। কোনও কর্মসূচি করতে দেওয়া হচ্ছে না। সাধারণ মানুষ গণতান্ত্রিক ভাবে যাদের হারিয়েছে, তারাই ওখানে নির্বাচিত প্রতিনিধিকে ঢুকতে দিচ্ছে না। বাইরে থেকে গুন্ডা মস্তান পাঠিয়ে ওখানে বোমা-গুলি-সন্ত্রাস কায়েম করেছে। মমতা ব্যানার্জি শান্তি চান না, তাই ভাঙড়ে শান্তি ফিরছে না। ওনারা হস্তক্ষেপ বন্ধ করলে ভাঙড়ে নিজে থেকেই শান্তি ফিরে আসবে। নওশাদকে তো আটকে দিয়েছে। ঢুকতেই পারেনি। তাহলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ কিভাবে সম্ভব? অত্যাচারের প্রতিবাদ করলে যদি তাকে অভিযুক্ত করা হয়, তাহলে কিভাবে হবে? অন্য জায়গার বিধায়ক ওখানে ঢুকে বসে আছে। আর ওখানকার বিধায়ককে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। দোষটা কার? যদি তৃণমূল মনে করে ওটা মুক্তাঞ্চল এবং ওখানে ওরাই দাপিয়ে বেড়াবে, তাহলে তো প্রতিরোধ হবেই’।

মোদীর সঙ্গে ইন্ডিয়ার লড়াইরাহুল গান্ধি

দিলীপ বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে ইন্ডিয়ার লড়াই। মোদীর সঙ্গে না। ইন্ডিয়া বিদেশি ভাবধারার একটা ভাবাদর্শ। যারা এতোদিন ভারতকে গোলাম করে রেখেছিলেন, যাদের লোকেরা মনের দিক থেকে এতোদিন গোলাম হয়ে থেকেছেন, তারা ইন্ডিয়ার প্রতিনিধি। আমরা তো ভারত মাতার জয় বলে শুরু করেছি। তাতে ওদের অসুবিধা হচ্ছে। ভারতের সঙ্গে এখন মোদীর নাম জড়িয়ে আছে। দেশে বিদেশে সম্মান আসছে। দেশ তার নিজের আদর্শে এগোচ্ছে। তাই ভারতের জয় হবে’।

পঞ্চায়েত ভোটের ১০ দিন পরে মালদায় সিল করা ব্যালট বক্স। তাহলে কি সব ভোট না গুণেই ফল ঘোষণা?

তিনি বলেন, ‘আমরা এতোদিন ব্যালট গায়েব হতে শুনেছি। এবার ব্যালট বাক্স গায়েব হয়ে গেছে। ব্যালট খেয়ে নেওয়ার অভিযোগ এসেছে। পরের ভোটে হয়তো ইভিএম খেয়ে নেওয়া হবে। এই যে প্রহসন, এটা এখন প্রমাণিত। পঞ্চায়েতের বক্স গায়েব হয়নি। হয়েছে পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের বাক্স। আমরা এই তথ্য কোর্টকে দিয়েছি’।

মমতার দেওয়া নামের ক্যারিশমা

তিনি বলেন, ‘ওনারা চাইছেন মমতা ব্যানার্জিকে নেতা বানিয়ে মোদীর সামনে ছুঁড়ে দিতে। কেউ এরিনায় ঢুকে খেলতে চাইছে না। যারা ঢুকেছে, তাদের অত্যন্ত দূরাবস্থা। অনেকের আর সাংসদ নেই। তাই কেউ মোদীর সামনে যাবে না’।

জ্যাংড়ায় ভোট বয়কটতবু ৯৫ শতাংশ ভোট!

দিলীপ বলেন, ‘সকাল ৬টা থেকে স্থানীয় বিধায়ক পুরো রাস্তা ঘিরে দিয়েছিল। আমাদের নেতাদের বাড়ির সামনে গুন্ডা দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছিল। ভোটার ঢুকতে পারেনি। আমরা কোর্টে জানিয়েছি’।

পার্থর বিরুদ্ধে সিবিআই ট্রায়ালে সম্মতি রাজ্যপালের

তিনি জানিয়েছেন, ‘বিচার শুরুর প্রক্রিয়া প্রয়োজন ছিল। সেটা উনি দিয়েছেন’।

মণিপুরে তৃণমূল দল

দিলীপ বলেন, ‘রাজ্যে এতো হিংসা। তৃণমূল কংগ্রেসের কত লোক মারা গেছে। উনি কার বাড়ি গেছেন? প্রতিবাদ করেছেন? কারন লোকসভায় সবাই এরা সবাইকে চায়। আমরা আমাদের কর্মীদের সঙ্গে আছি। ওনারা সব জায়গায় যান। ওরা লাশের বিভাজন করছেন। মারো আর ২ লাখ টাকা করে দিয়ে দাও’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.